আসিফ নজরুল (Asif Nazrul) বলেছেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকালে দায়ের হওয়া পুলিশ হত্যা মামলায় দুই আসামি ১৬৪ ধারার জবানবন্দি প্রত্যাহার করলে শিশুটিকে আর আদালতে যেতে হতো না। বিষয়টি নিয়ে তিনি আদালত, প্রশাসন ও পরিবারের সঙ্গে ইতোমধ্যেই আলোচনা করেছেন বলে জানান।
মামলার প্রক্রিয়া নিয়ে ব্যাখ্যা আইন উপদেষ্টার
রোববার (২০ এপ্রিল) বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, মামলাটি এখনো তদন্তাধীন এবং যেহেতু এখনো চার্জশিট হয়নি, তাই আইন মন্ত্রণালয়ের এখতিয়ার নেই মামলা প্রত্যাহার করার।
তিনি বলেন, “১৬৪ ধারায় দেওয়া জবানবন্দি যদি প্রত্যাহার করা হতো, তাহলে মামলাটি ফাইনাল রিপোর্ট দেওয়ার মাধ্যমে দ্রুত নিষ্পত্তি করা যেত।”
“সবচেয়ে দুর্ভাগ্যজনক, শিশুটি এখনো আদালতের মুখোমুখি”
আসিফ নজরুল জানান, তিনি ব্যক্তিগতভাবে গুম-নির্যাতনের শিকার হওয়া এই শিশুটির ভাইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন এবং মামলার প্রক্রিয়া ব্যাখ্যা করেছেন। তিনি বলেন, “যদি আমরা আইনের সঠিক পথ অনুসরণ করি, তবে দ্রুত বিচার সম্ভব।”
পুলিশ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওপর দায়
তিনি স্পষ্ট করেন, “এই মামলা যেহেতু তদন্তাধীন, তাই শুধু পুলিশ বা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় (Ministry of Home Affairs) ফাইনাল রিপোর্ট দিতে পারে। আইন মন্ত্রণালয় কেবল চার্জশিটের পরে পদক্ষেপ নিতে পারে।”
“জবানবন্দি ছিল পুলিশের নির্যাতনের ফল”
আসিফ নজরুল বিশ্বাস করেন, “১৬৪ ধারায় দেওয়া ওই দুই আসামির জবানবন্দি পুলিশ ভয়ভীতি, নির্যাতন ও চাপ প্রয়োগ করে নিয়েছিল। আট মাস হয়ে গেছে নতুন সরকার এসেছে, এখনও কেন তারা সেটা প্রত্যাহার করেননি?”
তিনি বলেন, “যদি জবানবন্দিগুলো প্রত্যাহার করা হতো, তাহলে শিশুটিকে আদালতে যেতে হতো না। এখনো সময় আছে, সংশ্লিষ্টরা যেন বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেন।”