মাত্র আট মাসে বৈদেশিক দেনা শোধের দৃঢ় পরিকল্পনা, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে অভাবনীয় সাফল্য

ড. মুহাম্মদ ইউনূস (Muhammad Yunus) নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার মাত্র আট মাসে আওয়ামী লীগ (Awami League) সরকারের ১৫ বছরের ঋণের বোঝা হালকা করে ফেলেছে। জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে ৩.২ বিলিয়ন ডলারের বৈদেশিক দেনা কমিয়ে আনা হয়েছে মাত্র ৮২৯ মিলিয়ন ডলারে। ডিসেম্বরের মধ্যে বাকি দেনা শোধের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে সরকার।


স্বল্প সময়ে বড় অগ্রগতি

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে দুর্নীতি, অদক্ষতা ও ঋণের বোঝা থেকে বেরিয়ে এসে এখন বাংলাদেশ এই খাতে স্থিতিশীলতা অর্জন করছে। সরকার সময়মতো বিল পরিশোধ করায় এলএনজি আমদানির খরচ প্রতি এমএমবিটিইউ ১৬-১৭ ডলার থেকে নেমে এসেছে ১১ ডলারে।

বর্তমানে মোট ৮২৯ মিলিয়ন ডলার বৈদেশিক বকেয়া রয়েছে:
– ৫২৯ মিলিয়ন ডলার ভারত (India) থেকে বিদ্যুৎ ও কয়লা আমদানির জন্য।
– ৩০০ মিলিয়ন ডলার এলএনজি আমদানির জন্য।

এই পুরো বকেয়া পরিশোধের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ডিসেম্বর ২০২৫-এর মধ্যে।


আগামীর পরিকল্পনা ও অর্থনৈতিক লক্ষ্যমাত্রা

২০২৪-২৫ অর্থবছরে ৯৬টি এলএনজি কার্গো আমদানির পরিকল্পনা রয়েছে, যার জন্য ব্যয় হবে ৫৫,৩৫৭ কোটি টাকা। আগামী বছর এই সংখ্যা বাড়িয়ে ১১৫টি কার্গো করা হতে পারে, ব্যয় দাঁড়াবে আনুমানিক ৬৭,৬০৭ কোটি টাকা।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (IMF) এই অভাবনীয় অগ্রগতিকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছে এবং আগামী জুনের বৈঠকের আগে এই দেনা পরিশোধের বিস্তারিত পরিকল্পনা চেয়েছে।


সুশাসনের ফলেই সফলতা

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা এবং সুশাসনের ফলে এত দ্রুত এ খাতে অগ্রগতি সম্ভব হয়েছে। যেখানে অতীতে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত দুর্নীতির জন্য বারবার আলোচিত হয়েছে, সেখানে এখন এই খাত উন্নয়ন ও স্থিতিশীলতার নজির স্থাপন করছে।

অন্তর্বর্তী সরকারের এই নীতিগত সাফল্য দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি করছে এবং বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরিয়ে আনতে সহায়ক হচ্ছে।