সাম্প্রতিক সময়ে সামাজিক মাধ্যমে ব্যক্তিগত আক্রমণ ও রাজনৈতিক অপপ্রচারের শিকার হয়েছেন বিশিষ্ট লেখক ও মেরিন ইঞ্জিনিয়ার মিনার রশিদ (Minar Rashid)। এই প্রেক্ষাপটে এক ফেসবুক পোস্টে তিনি নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেছেন এবং সমালোচকদের কঠোরভাবে সমালোচনা করেন।
তিনি বলেন, “আমার পেছনে কিছু অম্বল ঠাকুর তাদের সকল কম্বল বা এসেট নিয়ে লেগে পড়েছেন বলে অনুমিত হচ্ছে। এদের অধিকাংশের দেশের জন্য কোনো কন্ট্রিবিউশন নেই, রাজনৈতিক মানসে ডিপলিটিসাইজড।”
লেখালেখি নয়, পেশাই জীবিকার উৎস
মিনার রশিদ বলেন, তিনি কেবল লেখালেখির ওপর নির্ভর করেন না, বরং একজন মেরিন ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে একটি সম্মানজনক পেশায় নিয়োজিত আছেন, এবং সেখান থেকেই তার পরিবারের জীবিকা নির্বাহ হয়।
তিনি আরও জানান, পত্রিকায় কলাম লেখার জন্য কোনো অর্থ গ্রহণ করেন না বরং সেই অর্থ সংশ্লিষ্ট পত্রিকার কল্যাণ ফান্ডে জমা দেওয়ার অনুরোধ করেন। “লেখালেখি আমার পেশা নয়, নেশাও নয়, এটি ভেতরের তাগিদ,”— বলেন তিনি।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অবদান
তিনি জানান, নিজের উপার্জনে ১৯৯০ সাল থেকেই ত্রিশাল, ময়মনসিংহ-এ বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। তার প্রতিষ্ঠিত ইসলামি একাডেমি স্থানীয়ভাবে অন্যতম শ্রেষ্ঠ স্কুল হিসেবে বিবেচিত। এছাড়াও ময়মনসিংহ শহরে আরও তিন-চারটি স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যেগুলো সোশাল বিজনেস মডেলে পরিচালিত।
বিরাজনীতিকরণবিরোধী অবস্থান
গত দুই দশক ধরে তিনি দেশের রাজনীতি থেকে মানুষের বিচ্ছিন্নতার বিপক্ষে লিখে আসছেন। “I hate politics” ধারার বিপরীতে অবস্থান নিয়ে মতলববাজ নিরপেক্ষতার বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন বলেও জানান মিনার।
জামায়াত ও তারেক রহমান প্রসঙ্গে অবস্থান
মিনার রশিদ লেখেন, তিনি যখন জামায়াতে ইসলামীর পক্ষে সত্য কথা বলেছিলেন, তখন তাকে বলা হয়েছিল ‘সংগ্রামের লোক’। আবার যখন তারেক রহমান-এর বিরুদ্ধে লেখা প্রপাগান্ডার বিপক্ষে অবস্থান নেন, তখন তাকে বলা হয় ‘জিয়ার দাস’।
তিনি বলেন, “নির্মম সত্য যেটি, তা আমি লিখতে দ্বিধা করি না। কেউ তাতে আঘাত পেলে সেটা তাদের সমস্যা। রাজনৈতিক মতাদর্শের কারণে নয়, সত্য বলার কারণেই আমাকে জামায়াত অথবা বিএনপির লোক বানানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।”
রাজনীতিতে অংশগ্রহণ নিয়ে ভাবনা
মিনার রশিদের মতে, ভালো মানুষদের অনুপস্থিতিই রাজনীতির বর্তমান দুরবস্থার জন্য দায়ী। অনেকেই তাকে সরাসরি রাজনীতিতে যুক্ত হতে উৎসাহ দিচ্ছেন। তবে এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেননি বলে জানান তিনি।
তবে তিনি পরিষ্কার করে বলেন, “যদি রাজনীতিতে আসি, ইনশাআল্লাহ আর্থিক বা সামাজিক ফায়দা নয়, বরং আদর্শিক পরিবর্তনের জন্যই আসব। কাউকে তৈলমর্দন করার প্রয়োজন হবে না।”
তিনি শেষ করেন এই বলে, “আল্লাহতায়ালাই আমার সাহায্যকারী। সত্য পথে থাকলে কাউকে ভয় পাই না।”