নিহত ছাত্র পারভেজের শেষ কথা ছিল—“আমি কাউকে কিছু বলি নাই, আমি শুধু হাসছিলাম”। সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া এই বক্তব্য ঘিরে ক্ষোভ ও ব্যথা প্রকাশ করেছেন বিশিষ্ট লেখক ও মতামত বিশ্লেষক দাদাভাই পিনাকী (DadaVai Pinaki)।
তিনি বলেন, “একটি হাসির কারণে যদি কেউ খুন হয়ে যায়, তাহলে সমাজে আর নিরাপদ কিছুই নেই। মেয়েটি পর্যন্ত লিখেছে—‘সবাই বলতেসে, একটা হাসি দিসে আর সে খুন হয়ে গেসে’। কী ভয়ংকর রাক্ষসী মনোভাব।”
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে খুনোখুনি: পুরোনো সমস্যা, নতুন চিত্র
দাদাভাই পিনাকী মনে করেন, বাংলাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে সহিংসতা নতুন কিছু নয়। তিনি লিখেছেন, “আমাদের ছাত্রজীবনে এমন কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছিল না যেখানে কেউ খুন হয়নি। তখন খুনোখুনি ছিল স্বাভাবিক ঘটনা।”
তাঁর মতে, এই সহিংসতার মূলে রয়েছে দায়মুক্তি এবং ক্ষমতাবানদের সন্তানদের অনুপস্থিতি।
সহজ সমাধান: দেশের ভেতরেই লেখাপড়া বাধ্যতামূলক
পিনাকী বলেন, “এই সমস্যা সমাধানে সবচেয়ে কার্যকর একটি আইন হলো—মন্ত্রী, এমপি, এসপি, ব্রিগেডিয়ার, জয়েন্ট সেক্রেটারি—সবাইয়ের সন্তানদের দেশে লেখাপড়া বাধ্যতামূলক করতে হবে।”
তিনি যুক্ত করেন, “যখন এই শ্রেণির সন্তানরা দেশের স্কুল-কলেজে পড়বে, তখন এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে তারা বুক দিয়ে রক্ষা করবে। কারণ তখন সেখানে তাদের সন্তানের ভবিষ্যৎ মিশে থাকবে।”
শিক্ষা ব্যবস্থায় নীতিনির্ধারকদের জবাবদিহিতা জরুরি
তিনি মনে করেন, এই কৌশল কখনোই ব্যর্থ হবে না। কারণ নিজের সন্তান যখন ঝুঁকিতে পড়বে, তখন কোনো ক্ষমতাবান ব্যক্তি চুপ থাকবেন না।
এই মতামতের মাধ্যমে দাদাভাই পিনাকী আবারও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর নিরাপত্তা এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার দাবিকে সামনে এনেছেন।