বিএনপি-র কেন্দ্রীয় নেত্রী ও সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা সম্প্রতি এক টকশোতে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) নেতাদের উদ্দেশ্যে কড়া ভাষায় সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন, “তোমাদের প্রতিটি শব্দ হাজার হাজার ভোট কেড়ে নিচ্ছে।”
রাজনৈতিক আচরণ নিয়ে রুমিনের ক্ষোভ
বেসরকারি এক গণমাধ্যমের টকশোতে আলোচনার সময় রুমিন ফারহানা বলেন, “আমরা অনেক দিন ধরে রাজনীতি করছি। আমি নিজেই রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান। এনসিপির নেতারা যখন কথা বলেন, মনে হয় আমাদের সন্তানরাই কথা বলছে। তাদের বক্তব্য আমাদের কষ্ট দেয়।”
তিনি আরও যোগ করেন, “এই যে প্রতিটি হুঙ্কার, প্রতিটি শব্দ—মানুষের কাছে নেতিবাচক বার্তা দিচ্ছে। এই কথাগুলো মানুষ গ্রহণ করছে না, বরং তারা আরও দূরে সরে যাচ্ছে।”
হুঙ্কারের পরিবর্তে ধৈর্য ও শিখন প্রয়োজন
রুমিন উদাহরণ টেনে বলেন, “আগে রাজপুত্রকে রাজা বানাতে হলে যুদ্ধবিদ্যা, জ্যোতির্বিদ্যা ও কূটনীতি শেখানো হতো। এখন পলিটিশিয়ানরা দেশ চালান, তাই তাঁদেরও মাঠ ঘাট পেরিয়ে অভিজ্ঞতা নিতে হয়।”
তিনি বলেন, “রাজনীতি এমন একটি ক্ষেত্র যেখানে ধৈর্য, শৃঙ্খলা, ভাষা, অভিজ্ঞতা—সব কিছু মিলিয়ে একজন নেতা তৈরি হয়। বড় বড় হুঙ্কার শুধু মানুষকে দূরে সরিয়ে দেয়, unless সেটা হয় জুলুমের বিরুদ্ধে।”
হুঙ্কার কখন গ্রহণযোগ্য?
রুমিন বলেন, “যখন শেখ হাসিনার জুলুমের বিরুদ্ধে বিএনপি হুঙ্কার দিত, মানুষ তা সমর্থন করেছিল। কিন্তু এখন যদি ছাত্র নেতারাও নিজেকে দেশ চালানোর অবস্থানে ভাবেন, এবং সেই ভঙ্গিতে কথা বলেন, তাহলে তা মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না।”
তিনি আরও বলেন, “মানুষ এখন এই পার্সেপশন নিয়েছে যে ছাত্ররাই দেশ চালায়—এই ভাবনা নেতাদের আরও দায়িত্বশীল হতে বাধ্য করে।”
রাজনৈতিক পরিপক্বতা ও ভাষার ভারসাম্য
রুমিন ফারহানা সার্বিকভাবে রাজনৈতিক ভাষা ও আচরণে ভারসাম্য আনার আহ্বান জানান এবং মনে করিয়ে দেন যে প্রতিটি শব্দের প্রভাব পড়ছে জনমনে ও ভোটের বাক্সে।