চীফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম (Mohammad Tajul Islam) মন্তব্য করেছেন, “ক্ষমতা, লুটপাটের স্পৃহা এবং অমরত্বের বাসনা শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina)কে একপ্রকার দানবে পরিণত করেছে।”
রোববার এক আলোচনাসভায় তিনি বলেন, “বাংলাদেশে সংঘটিত গুম, অপহরণ, রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস—এই সবকিছুর মূল হোতা হচ্ছেন শেখ হাসিনা। যদি তিনি ক্ষমতায় না থাকতেন, তাহলে এসব অপরাধ হতো না।”
‘দানবের প্রাণভোমরা’ ধ্বংসের ডাক
তাজুল ইসলাম বলেন, “আমরা যদি কনস্টেবল পর্যন্ত বিচার করতে যাই, তাহলে অন্তত ৫০ বছর লেগে যাবে। তাই আমাদের মূল ফোকাস হওয়া উচিত অপরাধের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা মূল হোতাদের বিচার করা। আর সেই মূল হোতা হচ্ছেন শেখ হাসিনা।”
তিনি বলেন, “এই দানবিক ক্ষমতার অপব্যবহার করেই তিনি অপরাধের নির্দেশ দিয়েছেন এবং তার অধীনস্থ কমান্ডাররা তা বাস্তবায়ন করেছে। যদি আমরা এই ‘দানবের প্রাণভোমরা’ ধ্বংস করতে পারি, তাহলে নিচের স্তরের ফোর্সগুলোর বিচারের প্রয়োজন পড়বে না।”
“দায় বাহিনীর নয়, দুর্বৃত্তদের”
বাহিনীর সদস্যদের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “যে পুলিশ বা নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা পুলিশের পোশাকে থেকে অপরাধ করেছে, তারা বাহিনীকে কলঙ্কিত করেছে, যেমন শেখ হাসিনা রাষ্ট্রকে কলঙ্কিত করেছেন।”
তিনি আরও বলেন, “অপরাধের মাধ্যমে আমাদের বাহিনীগুলোর সুনাম ক্ষুণ্ন হয়েছে। কিন্তু এই দায় বাহিনীর নয়, বরং সেই দুর্বৃত্তদের, যারা বাহিনীর মধ্যে ঢুকে অপরাধ করেছে।”
বিচার ছাড়া রাষ্ট্রের অগ্রগতি সম্ভব নয়
তাজুল ইসলাম বলেন, “এই কলঙ্কিত মানুষদের বিচার করতেই হবে—এটা জাতিসত্তার প্রয়োজন, সভ্যতা ও ন্যায়বিচারের প্রয়োজন। যারা প্রকৃত দেশপ্রেমিক, তারা আবার জাতীয় পতাকা হাতে দেশের সেবা করবে।”
তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, “আমাদের সেনাবাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থা, নিরাপত্তা বাহিনী রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করবে এবং তাদের মর্যাদা পুনরুদ্ধারে ভূমিকা রাখবে।”