গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে ভারতে পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina) ও তার পরিবারের ১০ সদস্যের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) (NID) লক (Lock) করেছে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) এনআইডি শাখা। ফলে তাদের এনআইডি ব্যবহার করে আর কোনো সেবা পাওয়া যাবে না, যেমন ব্যাংক লেনদেন, মোবাইল রেজিস্ট্রেশন বা বিভিন্ন যাচাইকরণ প্রক্রিয়া।
নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত
ইসির এনআইডি শাখার একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানান, প্রায় দুই মাস আগে কর্তৃপক্ষের মৌখিক নির্দেশে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যদিও ভিভিআইপি ব্যক্তিরা নিজেরাও প্রায়ই এনআইডি লক করতে বলেন—ভবিষ্যতে যেন কেউ অপব্যবহার না করতে পারে।
তিনি জানান, “সাবেক রাষ্ট্রপতিরাও নিজের অনুরোধে এনআইডি লক করে রাখতেন। পরে প্রয়োজনে আনলক করা হতো।” তবে এনআইডি লক থাকলেও ভোটাধিকার বা প্রার্থী হওয়ার ক্ষেত্রে তা বাধা সৃষ্টি করে না।
কারা কারা এনআইডি লক তালিকায় আছেন?
ইসির নির্দেশনা অনুযায়ী যাদের এনআইডি লক করা হয়েছে, তারা হলেন—
– শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina)
– সজীব আহমেদ ওয়াজেদ (Sajeeb Wazed)
– সায়মা ওয়াজেদ (Saima Wazed)
– রেহানা সিদ্দিক (Rehana Siddiq)
– টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিক (Tulip Siddiq)
– আজমিনা সিদ্দিক
– শাহিন সিদ্দিক
– বুশরা সিদ্দিক
– রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক
– তারিক আহমেদ সিদ্দিক
এনআইডি লকের প্রভাব ও কারণ
মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন (Muhammad Ashraf Hossain), ইসির এনআইডি শাখার সিস্টেম ম্যানেজার বলেন, “এনআইডি লক করলে সেই কার্ড আর কোনো সেবায় ব্যবহার করা যায় না। এটি মূলত অপব্যবহার ঠেকাতে করা হয়।”
তিনি আরও বলেন, “মিথ্যা তথ্য দিয়ে ভোটার হলে বা তদন্ত চলাকালে এনআইডি লক করা হয়। তবে ভিভিআইপিদের ক্ষেত্রে তাদের অনুরোধে এটা করা হয়ে থাকে।”
ব্যাংক লেনদেনেও সমস্যা
বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যাংক (Bangladesh Bank) শেখ হাসিনা ও শেখ পরিবারের সদস্যদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট স্থগিত করেছে। যেহেতু ব্যাংক থেকে টাকা তুলতে এনআইডি ভেরিফিকেশন বাধ্যতামূলক, তাই এনআইডি লক থাকার কারণে তারা আর ব্যাংক লেনদেনও করতে পারছেন না।