সন্তোষ শর্মা ইস্যুতে জামায়াত-শিবিরকে রফিকুল মাদানীর সতর্ক বার্তা

তরুণ আলেম রফিকুল ইসলাম মাদানী তার ফেসবুক পোস্টে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীইসলামী ছাত্রশিবিরের প্রশংসা করলেও সন্তোষ শর্মা ইস্যুতে দলটিকে দিয়েছেন ‘নসিহত’। জেলে থাকাকালীন জামায়াতের সহযোগিতা ও ২৪-এর অভ্যুত্থানে ছাত্রশিবিরের অবদানের কথা স্বীকার করলেও ভারতপন্থী হিসেবে পরিচিত সন্তোষ শর্মাকে জামায়াতের আয়োজনে দাওয়াত দেওয়া নিয়ে তীব্র বিরক্তি প্রকাশ করেছেন তিনি।

জেলজীবনে জামায়াতের সহযোগিতা

রফিকুল ইসলাম মাদানী বলেন, ‘আমি যখন জেলখানায় ছিলাম, তখন জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা আমার ও আমার পরিবারের খোঁজখবর রেখেছেন। আমি নিজে সাক্ষী, অনেক মজলুম আলেমের সহযোগিতায় জামায়াত সরাসরি ভূমিকা রেখেছে। আমিরে জামায়াত আমার রুমে হাদিয়া পাঠাতেন। এটা তাদের ভালোবাসার নিদর্শন।’

২৪-এর বিপ্লবে ছাত্রশিবিরের ভূমিকা

তিনি আরও বলেন, ‘২৪-এর বিপ্লবের প্রকৃত চিত্র যারা জানেন তারা নিশ্চয়ই স্বীকার করবেন, শাহাদাতপিয়াসী ছাত্রশিবিরের অবদান সবচেয়ে বেশি ছিল। অন্যান্য ছাত্র সংগঠনদের ভূমিকা থাকলেও শেষ সময়ের মূল চ্যালেঞ্জটা ছাত্রশিবির নিয়েছিল।’

সন্তোষ শর্মাকে আমন্ত্রণ নিয়ে ক্ষোভ

তবে চলমান সন্তোষ শর্মা ইস্যুতে জামায়াতের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রফিকুল মাদানী। তিনি বলেন, ‘যে ব্যক্তি আমাকে, শায়খ হারুন ইজহারসহ আলেমদের রিমান্ডে নির্যাতন করেছে, তাকে দাওয়াতি সেমিনারে সম্মান দেখানো দুঃখজনক। এটি মেনে নেওয়া কষ্টদায়ক।’

তিনি অভিযোগ করেন, সন্তোষ শর্মা একজন চিহ্নিত ভারতীয় এজেন্ট এবং তাকে আমন্ত্রণ দেওয়া রাজনৈতিক দূরদর্শিতার অভাব নির্দেশ করে। ‘ভারত গোষ্ঠী কখনও আপনাদের ক্ষমতায় দেখতে চাইবে না। বরং তাদের সাথে সম্পর্ক আপনাদের প্রতি দেশের মানুষের ভালোবাসা কমাবে,’ বলেন রফিকুল।

দলের ভেতরেও মতানৈক্য

তিনি অভিযোগ করেন, জামায়াতের কিছু নেতা, যেমন নুরুজ্জামান নোমানী, সন্তোষ শর্মার উপস্থিতিকে সমর্থন করছেন এবং সমালোচকদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিচ্ছেন, যা তিনি অনুচিত বলেই মনে করেন।

জামায়াত নেতাদের প্রতি বার্তা

পোস্টের শেষে রফিকুল মাদানী বলেন, ‘জামায়াত নেতৃবৃন্দকে বলছি—সতর্ক থাকুন, ভারতীয় প্রভাবের এজেন্টদের থেকে দূরে থাকুন, এবং সমালোচনাকে গুরুত্ব দিন।’