ফিরে দেখা ১/১১: তারেক রহমানের ওপর নির্যাতনের নেপথ্যে প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার

২০০৭ সালের ৭ মার্চ, ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের শহীদ মঈনুল হোসেন সড়কে অবস্থিত বাড়িতে অবস্থানরত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান (Tarique Rahman) কে বিনা অনুমতিতে গ্রেপ্তার করে যৌথ বাহিনী। এদিন থেকে শুরু হয় তাঁর ওপর সীমাহীন নির্যাতনের ইতিহাস।

গ্রেপ্তার পরবর্তী সময়ে তাঁকে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়, যেখানে ‘আয়নাঘর’ নামে পরিচিত গোপন বন্দিশালায় অমানবিক নির্যাতন চালানো হয়। মেরুদণ্ডের হাড় ভেঙে যাওয়া থেকে শুরু করে স্থায়ী পায়ে ব্যথা—তাঁর শারীরিক যন্ত্রণার সূচনা ঘটে এখানেই। তবুও তারেক রহমান কোনো স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি বা মুচলেকা দেননি।

এই নিপীড়নের অন্যতম নেপথ্য কারিগর ছিল দেশের দুই শীর্ষ গণমাধ্যম—প্রথম আলো (Prothom Alo) ও ডেইলি স্টার (The Daily Star)।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০০১-২০০৭ সাল পর্যন্ত তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক ভিত্তিহীন, মনগড়া সংবাদ প্রচার করে এই দুটি সংবাদমাধ্যম তাকে জনগণের সামনে বিতর্কিত করতে সচেষ্ট ছিল। “হাওয়া ভবন”, “জঙ্গি সম্পৃক্ততা”, “ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ” ইত্যাদি কল্পিত অভিযোগ দিয়ে তাঁর চরিত্র হননের চেষ্টা হয়।

বিশেষ করে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা এবং ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলার সঙ্গে তারেক রহমানকে জড়ানোর অপচেষ্টা করা হয়, যদিও সাম্প্রতিক আপিল বিভাগ এই অভিযোগগুলিকে “কল্পকাহিনি” বলে নাকচ করে দেয়।

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠে যে, তারা ভারতীয় এজেন্ডা বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে তারেক রহমানকে রাজনীতি থেকে বাদ দেওয়ার ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে দেশের জাতীয়তাবাদী চেতনায় আঘাত হানার চেষ্টা করেছিল।

তবে সকল ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করে, নির্যাতন সহ্য করেও তারেক রহমান আজ বাংলাদেশের তরুণ সমাজের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছেন।