আসন্ন কোরবানির ঈদ উপলক্ষে নতুন নকশার নোট বাজারে ছাড়তে যাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক (Bangladesh Bank)। এসব নোটে থাকবে ২০২৪ সালের জুলাই মাসে ঘটে যাওয়া রাজনৈতিক অভ্যুত্থানের প্রতীকী চিত্র—গ্রাফিতি, পাশাপাশি দেশের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির নিদর্শন।
২ টাকা থেকে ১ হাজার—৯ ধরনের নোট আসছে বাজারে
বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, ২ টাকা থেকে শুরু করে ১ হাজার টাকার মোট ৯ ধরনের নতুন নোট ছাপানো হয়েছে। তবে সবগুলো নোট একসাথে বাজারে ছাড়ার সম্ভাবনা নেই। কোরবানির ঈদের আগেই কিছু নোট বাজারে ছাড়া হবে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান (Arif Hossain Khan)।
তিনি বলেন, “একটি নতুন নোট ছাপাতে ১ থেকে দেড় বছর সময় লাগে। তবুও আমরা চেষ্টা করছি গ্রাহকের চাহিদা মাথায় রেখে ঈদের আগেই কিছু নোট ছাড়ার।”
বঙ্গবন্ধুর ছবিযুক্ত নোট বিতরণে জটিলতা
নতুন নকশার নোট না থাকায়, পূর্ববর্তী সময়ের বঙ্গবন্ধুর ছবিযুক্ত নোট এখনো বাজারে আসেনি। রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের ৯ মাস পেরিয়ে গেলেও, ব্যাংকগুলো এসব নোট সাধারণ গ্রাহকদের দিচ্ছে না। ফলে গেল ঈদুল ফিতরেও নতুন নোট ছাড়তে পারেনি বাংলাদেশ ব্যাংক।
ভল্টে বঙ্গবন্ধুর ছবিযুক্ত বিপুল সংখ্যক নোট মজুত থাকলেও, বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনার কারণে তা বিতরণ করা হচ্ছে না।
পুরোনো-ছেঁড়া নোটে বাড়ছে ভোগান্তি
নতুন নোট না থাকায় বাজারে ছেঁড়া ও পুরোনো নোটের প্রচলন বেড়েছে। বিশেষ করে গুলিস্তান (Gulistan) ও মতিঝিল (Motijheel) এলাকায় এসব নোট পরিবর্তনে হিড়িক পড়েছে। কেউ কেউ খোলাবাজার থেকে অতিরিক্ত অর্থ দিয়ে নতুন নোট সংগ্রহ করতে বাধ্য হচ্ছেন, এতে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন সাধারণ গ্রাহকরা।
অন্যদিকে, ব্যাংকে ছেঁড়া নোট পরিবর্তন করতে গেলেও পড়তে হচ্ছে নানা নিয়ম–নীতির জটিলতায়। অনেক সময় গ্রাহকদের প্রয়োজনীয় মানদণ্ড পূরণ না হলে নোট পরিবর্তন করা সম্ভব হচ্ছে না।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, দেশে প্রতি বছর বিভিন্ন মূল্যমানের প্রায় ১৫০ কোটি পিস নতুন টাকার চাহিদা থাকলেও, টাকশাল ছাপাতে পারে সর্বোচ্চ ১২০ কোটি পিস।