নির্বাচনের সময়সীমা সমর্থন এনসিপির, তবে আওয়ামী লীগের বিচার ও গণপরিষদ নির্বাচনের দাবি অপরিহার্য

জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) (National Citizens’ Party (NCP)) অন্তর্বর্তী সরকারের ঘোষিত নির্বাচনের সময়সীমা প্রাথমিকভাবে সমর্থন করলেও, তারা নির্বাচন আয়োজনের পূর্বশর্ত হিসেবে আওয়ামী লীগের (Awami League) বিচার, জুলাই সনদের ঘোষণা ও জাতীয় নির্বাচনকে গণপরিষদ নির্বাচন হিসেবে আয়োজনের দাবি জানিয়েছে। বুধবার (৩০ এপ্রিল) দলের অস্থায়ী কার্যালয়ে গণসংহতি আন্দোলন (Ganosamhati Andolon)–এর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক শেষে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম (Nahid Islam) এই মন্তব্য করেন।

বিচার ও সংস্কার ছাড়া নির্বাচন নয়: এনসিপি

নাহিদ ইসলাম বলেন, “আমরা অন্তর্বর্তী সরকারের সময়সীমার সিদ্ধান্ত সমর্থন করছি, তবে তার আগে বিচার ও মৌলিক সংস্কার অত্যাবশ্যক। আওয়ামী লীগের বিচার কার্যক্রম শুরুর আগেই তাদের নিবন্ধন স্থগিত করতে হবে।”

তিনি আরও বলেন, “ফ্যাসিবাদবিরোধী দলগুলোর সঙ্গে রাজনৈতিক ঐক্য গঠনের সম্ভাবনা থাকলেও ভোটের মাঠে ঐক্য নিয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি।”

‘মানবিক করিডোরে রাজনৈতিক ঐকমত্য জরুরি’

পল্টনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ (Islami Andolon Bangladesh)–এর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক যৌথ বৈঠক শেষে নাহিদ ইসলাম বলেন, “মানবিক করিডোর বিষয়ক সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা জরুরি ছিল। এ বিষয়ে কোনো স্পষ্ট ধারণা নেই রাজনৈতিক মহলে। এখন প্রয়োজন জাতীয় সংলাপ।”

তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “নতুন রাজনৈতিক সংস্কৃতির পথে কেউ বাধা হয়ে দাঁড়ালে তা জনগণ মেনে নেবে না।”

গণপরিষদ নির্বাচন চাই গণসংহতি আন্দোলন

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি (Jonaid Saki) বলেন, “সংবিধান সংস্কার ছাড়া রাষ্ট্র সংস্কার সম্ভব নয়। সেক্ষেত্রে গণপরিষদ নির্বাচন হোক বা জনসমর্থন ভিত্তিক প্রক্রিয়া—কোনো না কোনোভাবে জনগণের অনুমোদন থাকতে হবে।”

ইসলামী আন্দোলনের অবস্থানও স্পষ্ট

এ বৈঠকে উপস্থিত ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ–এর আমির মুফতি সৈয়দ রেজাউল করিম (Mufti Syed Rezaul Karim) বলেন, “সংস্কার ও বিচার ছাড়া নির্বাচনের কোনো সুযোগ নেই। আগে এই দুই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে।”