বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোট (Bangladesh Sanatani Jagoron Jote)–এর মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী (Chinmoy Krishna Das Brahmachari)–কে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় হাইকোর্ট জামিন দিলেও তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। এনসিপি (NCP)-এর দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ (Hasnat Abdullah) এই জামিন আদেশকে ভারতীয় আধিপত্যের চাপের ফলাফল হিসেবে মন্তব্য করেছেন।
চাপের কাছে নতি স্বীকার?
বৃহস্পতিবার (১ মে) বিকেলে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পোস্টে হাসনাত লিখেন, “চিন্ময়ের জামিনকে কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা মনে করি না। চিন্ময়ের ঘটনার শুরু থেকেই ভারতীয় আধিপত্যবাদ এই দেশের উপর অন্যায় প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করেছে। চিন্ময়ের জামিনও কি সেই চাপের কাছে নতি স্বীকার করেই দেওয়া হল?”
তিনি আরও লেখেন, “ইন্টেরিম সাবধান! আলিফের রক্তের উপর দাঁড়িয়ে ভারতীয় আগ্রাসনের রাস্তা উন্মুক্ত করলে পরিণতি ভালো হবে না।”
চিন্ময়ের বিরুদ্ধে মামলা ও জামিন প্রক্রিয়া
গত ২৫ নভেম্বর ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (Hazrat Shahjalal International Airport) থেকে গোয়েন্দা পুলিশ (Detective Branch) চিন্ময়কে গ্রেপ্তার করে। পরদিন তাকে আদালতে হাজির করা হলে ম্যাজিস্ট্রেট জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে, ৩১ অক্টোবর চট্টগ্রাম (Chattogram)–এর কোতোয়ালি থানায় বিএনপি নেতা ফিরোজ খান বাদী হয়ে জাতীয় পতাকা অবমাননা ও রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। মামলায় চিন্ময়সহ ১৯ জনকে আসামি করা হয়।
পরে চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতে জামিন আবেদন খারিজ হলে চিন্ময়ের পক্ষে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়। ৪ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট রুল জারি করে জানতে চায়, কেন চিন্ময়কে জামিন দেওয়া হবে না।
রাষ্ট্রপক্ষের আপত্তি
চিন্ময়ের জামিন আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ (State Counsel) চেম্বার জজ আদালতে আবেদন করেছে, যার শুনানি আগামী রবিবার অনুষ্ঠিত হবে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই জামিন নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। অনেকেই বিষয়টিকে ‘চাপের রাজনীতি’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন, কেউ কেউ বলছেন এটি ন্যায্য আইনগত প্রক্রিয়ার ফসল।