ভারতীয় আগ্রাসনের চাপেই চিন্ময়ের জামিন? প্রশ্ন তুললেন এনসিপি নেতা

বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোট (Bangladesh Sanatani Jagaran Jote)–এর মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী (Chinmoy Krishna Das Brahmachari)–কে হাইকোর্ট জামিন দিলেও এ সিদ্ধান্ত নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। জামিনের বিরোধিতা করে ইতিমধ্যে রাষ্ট্রপক্ষ চেম্বার আদালতে আবেদন করেছে, যার শুনানি হবে আগামী রবিবার।

জামিনে রাজনৈতিক প্রভাব?

এই প্রসঙ্গে এনসিপি (NCP)–র মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ (Hasnat Abdullah) সামাজিক মাধ্যমে কড়া প্রতিক্রিয়া জানান।
তিনি লিখেছেন, “চিন্ময়ের জামিনকে কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা মনে করি না। ভারতীয় আধিপত্যবাদ শুরু থেকেই চিন্ময়ের ঘটনাকে প্রভাবিত করেছে। তাহলে কি জামিনও সেই চাপের কাছে নতি স্বীকারের ফল?”

তিনি আরও বলেন, “ইন্টেরিম সাবধান! আলিফের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে ভারতীয় আগ্রাসনের রাস্তা উন্মুক্ত করলে পরিণতি ভালো হবে না।”

মামলার পটভূমি

২০২৪ সালের ২৫ নভেম্বর ঢাকা (Dhaka) থেকে চট্টগ্রাম (Chattogram) যাওয়ার সময় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (Shahjalal International Airport) থেকে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ।
পরদিন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তাঁর জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

৩১ অক্টোবর চট্টগ্রাম মহানগরীর চান্দগাঁও মোহরা (Chandgaon Mohra) ওয়ার্ডের বিএনপি (BNP) নেতা ফিরোজ খান বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানা (Kotwali Thana)–য় রাষ্ট্রদ্রোহ ও জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগে মামলা করেন চিন্ময়সহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে।

২০২৫ সালের ২ জানুয়ারি চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ চিন্ময়ের জামিন আবেদন খারিজ করে দেন। পরে হাইকোর্টে আবেদন করা হলে ৪ ফেব্রুয়ারি আদালত রুল জারি করেন—কেন তাঁকে জামিন দেওয়া হবে না।