ঢাকায় ফের আলোচনায় ‘হানি ট্র্যাপ’ চক্র। এবার এ চক্রের ফাঁদে পড়েছেন নোয়াখালী (Noakhali) জেলার ভারপ্রাপ্ত খাদ্য নিয়ন্ত্রক মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম। সংগীতচর্চার সূত্র ধরে পরিচয়ের পর ঘনিষ্ঠ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন ঢাকার মডেল তনয়া হোসেন ও তার বোন তানিশা চক্রের সঙ্গে। এরপর ১৯ এপ্রিল ঢাকার ছোলমাঈদ উত্তরপাড়া এলাকায় দাওয়াতের নামে বাসায় গিয়ে জিম্মি হন জাহাঙ্গীর।
চক্রের সদস্যরা তাকে বেঁধে মারধর, শ্বাসরোধে হত্যাচেষ্টা ও ব্ল্যাকমেইল করে এক কোটি টাকা দাবি করে। পরে এসএ পরিবহন ও বিকাশের মাধ্যমে পরিবার থেকে ৬০ লাখ টাকা আদায় করে তারা। এরপর বিবস্ত্র করে ছবি-ভিডিও ধারণ করে হুমকি দেওয়া হয় সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার। রাতেই তাকে অর্ধনগ্ন অবস্থায় ফেলে যায় ঢাকার বাড্ডা এলাকার একটি গলিতে।
জাহাঙ্গীর আলম রিকশাচালকের সহায়তায় আশ্রয় নেন একটি হোটেলে, পরে যান চট্টগ্রামে। চিকিৎসা শেষে ফিরে এসে ভাটারা থানা থানায় মামলা করেন। মামলার পর ২৬ এপ্রিল অভিযান চালিয়ে পুলিশ গ্রেপ্তার করে তনয়া, তানিশা, সাফাত ইসলাম ও রুমানা ইসলামকে। উদ্ধার হয় ১৫ লাখ ৪৬ হাজার ৫০০ টাকা। জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, বাকিটা ব্যাংকে জমা রাখা ও মোবাইল ফোন কেনায় ব্যয় হয়েছে।
এ ঘটনার পর আবারও আলোচনায় উঠে আসে ঢাকায় সক্রিয় হানি ট্র্যাপ চক্র। এর আগে মডেল মেঘনা আলমের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে সৌদি রাষ্ট্রদূতের কাছে ৫ মিলিয়ন ডলার দাবি করার। সেই মামলায় বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় তাকে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মুখপাত্র মুহাম্মদ তালেবুর রহমান সতর্ক করে বলেন, হানি ট্র্যাপ প্রতারণা থেকে রক্ষা পেতে সবাইকে সচেতন হতে হবে। সন্দেহজনক কিছু দেখলে দ্রুত পুলিশকে জানানোর আহ্বান জানান তিনি।