বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামের (Bangladesh Jamaat-e-Islami) আমির ডা. শফিকুর রহমান (Dr. Shafiqur Rahman) বলেছেন, ‘যারা লেখা দেখে পড়তে পারেন না, তারাও একসময় সংসদ সদস্য হতেন—এমনটি যেন আর না হয়।’
শনিবার (৩ মে) সকালে রাজধানীর মগবাজার (Moghbazar) এলাকার আল ফালাহ মিলনায়তনে জেলা ও মহানগর আমিরদের দুইদিনব্যাপী সম্মেলনের উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
আনুপাতিক নির্বাচন পদ্ধতির পক্ষে যুক্তি
তিনি বলেন, ‘আনুপাতিক হারে প্রতিনিধিত্বশীল নির্বাচনের ব্যবস্থা থাকা উচিত। বিশ্বে ৬২টি দেশ এটি অনুসরণ করছে এবং উন্নত দেশগুলো এর সুফল পাচ্ছে।’ প্রচলিত নির্বাচনী পদ্ধতিকে অকার্যকর দাবি করে তিনি বলেন, ‘আমরা এমন সংসদ সদস্য দেখেছি যারা পড়তে পারেন না। তারা আইন রচনা করবে কীভাবে?’
জামায়াত আমির মনে করেন, যে যত শতাংশ ভোট পাবে, সে তত আসন পাবে—এমন পদ্ধতিই দেশের জন্য উত্তম। এতে কোনো দলকে ছোট বা বড় বলার সুযোগ থাকবে না এবং কেউ কারো দয়ার পাত্র হবে না।
নির্বাচন সংস্কার ও অপরাধীদের বিচার দাবি
তিনি নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করার জন্য কয়েকটি কাঠামোগত সংস্কারের কথা বলেন এবং জানান, এসব বিষয়ে সুপারিশ কমিশনের কাছে পেশ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, “রাজনীতি নিজের জন্য নয়, বরং দেশ ও জনগণের জন্য হওয়া উচিত। আমরা যত সহযোগিতা করবো, জাতি তত উপকৃত হবে।”
তিনি আরও বলেন, “অপরাধীদের বিচারের ক্ষেত্রে গতি দেখা যাচ্ছে না। বিচার দৃশ্যমান হতে হবে যাতে জনগণের আস্থা তৈরি হয়।” তিনি মনে করেন, অপরাধীদের শাস্তি না হলে কালো টাকা ও পেশিশক্তির দৌরাত্ম্য চলতেই থাকবে।
আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে অভিযোগ
আওয়ামী লীগ (Awami League) এবং তার মিত্রদের বিরুদ্ধে ২০০৯ থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত শাসন ও শোষণের অভিযোগ তোলেন জামায়াত আমির। তিনি বলেন, এই সময়ের মধ্যে বিরোধী দল ও মত, বিশেষত ইসলামপন্থীদের বিরুদ্ধে তাণ্ডব চালানো হয়েছে।