নতুন নোটের সংকট শিগগিরই কাটছে, চাহিদা ছাড়িয়েছে টাকশালের উৎপাদনক্ষমতা

বাংলাদেশ ব্যাংক (Bangladesh Bank) জানিয়েছে, নতুন টাকা ছাপার কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে এবং অল্প সময়ের মধ্যেই বাজারে ছাড়া হবে। চলতি অর্থবছরের শেষ নাগাদ নয় ধরনের নতুন নোট বাজারে আনার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছিল।

ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান জানান, “ছাপানোর কাজ শেষ হলেই ইস্যু প্রক্রিয়া শুরু করা হবে, এটি এক-দুই দিনের বিষয় মাত্র।” তিনি জানান, গাজীপুর (Gazipur) এর সিকিউরিটি প্রিন্টিং করপোরেশন থেকে এসব নোট রাজধানী ঢাকা (Dhaka) আনা হবে এবং এরপরেই বাজারে ছাড়া হবে।

নোটের নকশা, আকার ও কাগজের মান

নতুন নোটে থাকছে ৫ই আগস্টের ‘জুলাই বিপ্লব’-এর প্রতিফলন এবং বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী দৃশ্যাবলি ও প্রতীক।
আকার আগের মতোই থাকছে, কোনো পরিবর্তন আসছে না।
কাগজের মান:** মানসম্পন্ন কাগজ ব্যবহারের কথা জানালেও এখনো বিস্তারিত জানায়নি বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, উন্নতমানের কাগজেই ছাপা হবে।

চাহিদা ও সক্ষমতার ব্যবধান

প্রতিবছর দেশে নতুন টাকার চাহিদা প্রায় ১৫০ কোটি পিস। অথচ বর্তমানে টাকশালের ছাপানোর সর্বোচ্চ সক্ষমতা ১২০ কোটি পিস। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রায় ৯৫ কোটি পিস নতুন নোট ছেপেছে।

বাজারে প্রচলিত টাকার পরিসংখ্যান

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে বাজারে মোট প্রচলিত টাকার পরিমাণ ছিল ৩ লাখ ৭৪ হাজার ৬০২ কোটি টাকা। এর মধ্যে:
– জনগণের হাতে: ২ লাখ ৭১ হাজার ৪৯৫ কোটি টাকা
– ব্যাংকের ভল্টে: ২৬ হাজার ৮৮৭ কোটি টাকা
– বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে: ৭৬ হাজার ২২০ কোটি টাকা

বাজারে প্রচলিত বেশিরভাগ নোটই ছেঁড়া, ময়লা ও পুরনো হওয়ায় নতুন নোটের চাহিদা জাতীয় দাবিতে রূপ নিচ্ছে। পুরনো নোট বদলাতে গিয়ে ৫০% পর্যন্ত অতিরিক্ত মূল্য দিতে হচ্ছে, যা জনসাধারণের ভোগান্তি বাড়িয়েছে।