গত ৯ মাসে অন্তত পাঁচবার হামলার শিকার হয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (National Citizen Party)–এর দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ (Hasnat Abdullah)। সর্বশেষ হামলাটি ঘটে গাজীপুরে, যেখানে মোটরসাইকেলযোগে ১০-১২ জন যুবক তার গাড়িতে হামলা চালিয়ে গাড়ির কাচ ভেঙে দেন এবং তিনি রক্তাক্ত হন।
গাজীপুরে রাতের হামলা ও অভিযান
রবিবার (৪ মে) রাত ৯টার দিকে গাজীপুর মহানগরীর চান্দনা চৌরাস্তার কাছে এই হামলা হয়। হামলার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে তাৎক্ষণিকভাবে দুইজনকে আটক করে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (Gazipur Metropolitan Police)—যারা হলেন মহানগরের ১৩ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগ (Jubo League) নেতা মো. নিজাম উদ্দিন ও কাশিমপুর থানা (Kashimpur Thana) শেখ রাসেল শিশু কিশোর পরিষদের সভাপতি মাসুম আহসেদ দিপু।
পরে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার জাহিদ হাসান (Jahid Hasan) জানান, রাতভর অভিযান চালিয়ে অন্তত ৭০ জনকে আটক করা হয়েছে। পুলিশের দাবি, অধিকাংশই আওয়ামী লীগ (Awami League) ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী।
অতীতের হামলার বিবরণ
-
**চট্টগ্রামে হত্যাচেষ্টা (২৭ নভেম্বর ২০২৪) চট্টগ্রাম (Chattogram)–কক্সবাজার (Cox’s Bazar) মহাসড়কে হাসনাত ও সারজিস আলম (Sarjis Alam)–এর গাড়িবহরকে ট্রাকচাপা দিয়ে হত্যার চেষ্টা হয়। গাড়ির ক্ষতি হলেও কেউ হতাহত হননি।
-
সচিবালয় এলাকায় আনসারদের হামলা (২৫ আগস্ট ২০২৪): ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (Dhaka Medical College Hospital) ও সিএমএইচ (CMH)–এ চিকিৎসা নিতে হয়েছিল তাকে। সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীও আহত হন।
-
২৪ ঘণ্টায় দুই দুর্ঘটনা (২৮ নভেম্বর ২০২৪): মাতুয়াইল (Matuail) ও গুলিস্তান (Gulistan) এলাকায় হাসনাতের গাড়িতে দুই দফা ট্রাকের ধাক্কা লাগে। ঘটনাগুলোকে হত্যাচেষ্টা হিসেবে বর্ণনা করেন তার সহযোগীরা।
প্রতিবাদ ও রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া
গাজীপুর ও ঢাকা (Dhaka)সহ বিভিন্ন স্থানে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করেছেন এই হামলার প্রতিবাদে। জাতীয় নাগরিক পার্টির পক্ষ থেকে এসব হামলাকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও গনতান্ত্রিক আন্দোলনে বাধা হিসেবেই দেখা হচ্ছে।