বরিশাল (Barishal) জেলায় বিএনপি (BNP) নেতাদের আশ্রয়ে পুনর্বাসিত হচ্ছেন আওয়ামী লীগ (Awami League) নেতারা—এমন অভিযোগ ঘুরছে রাজনৈতিক অঙ্গনে। বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও নেতাকর্মীরা প্রকাশ্যে এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন, সভা-চা চক্রে অংশ নিচ্ছেন এবং টিআর-কাবিখাসহ সরকারি বিভিন্ন সুবিধা আদায়ে সক্রিয় রয়েছেন। এসব নিয়ে বিভক্ত হয়ে পড়েছে বিএনপি নিজেই।
বরিশাল-১: শক্ত ঘাঁটি থেকেও যোগাযোগ
এই আসনের সাবেক এমপি আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ (Abul Hasanat Abdullah) ও তার পরিবার ভারতে অবস্থান করলেও তার দলের প্রভাবশালী নেতারা আগৈলঝাড়া ও গৌরনদীতে সক্রিয়। অনেকেই তালুকদার মোহাম্মদ ইউনুছ (Taluqdar Mohammad Yunus) এর মতো আত্মগোপনে থেকেও এলাকায় অবস্থান করছেন।
বরিশাল-২ ও ৩: ইউপি চেয়ারম্যানদের দৃশ্যমান উপস্থিতি
উজিরপুর ও বানারীপাড়া এবং বাবুগঞ্জ ও মুলাদীর বিভিন্ন ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান ও স্থানীয় নেতারা প্রকাশ্যে রয়েছেন। বিএনপির নেতারা অভিযোগ করছেন, চাপে থাকার ভয়ে এসব আওয়ামী লীগ নেতাদের বিতাড়িত করতে পারছেন না।
বরিশাল-৪ ও ৫: অন্তর্ঘাতের অভিযোগে দলে বিভক্তি
পংকজ দেবনাথ (Pankaj Debnath) আত্মগোপনে থাকলেও মেহেন্দিগঞ্জ ও হিজলার আওয়ামী লীগ নেতারা প্রকাশ্যেই কর্মকাণ্ড চালাচ্ছেন। বিএনপির জেলা পর্যায়ের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে আঁতাত করে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার অভিযোগ রয়েছে। বরিশাল সদরে কিছুটা চাপে থাকলেও ছাত্রলীগ মাঝেমধ্যে ঝটিকা মিছিল করে আওয়ামী লীগের উপস্থিতি জানান দিচ্ছে।
বরিশাল-৬: আর্থিক বিনিময়ে আশ্রয়ের অভিযোগ
বাকেরগঞ্জে আবুল হোসেন খান (Abul Hossain Khan) ও তার অনুসারীদের বিরুদ্ধে সরাসরি অভিযোগ করেছেন বিএনপির সাবেক নেতা নজরুল ইসলাম খান রাজন (Nazrul Islam Khan Rajon)। তিনি বলেন, বিনা লাভে কেউ আশ্রয় দেয় না, আর এখানেই ঘটেছে ‘বিনিময়ের রাজনীতি’।
বিএনপির বিভক্ত অভ্যন্তর
বিভিন্ন উপজেলার বিএনপি নেতারা এসব অভিযোগ অস্বীকার করলেও বাস্তবতার ভিন্ন চিত্র উঠে এসেছে। কেউ কেউ বলছেন, প্রশাসনের ব্যর্থতার কারণে এসব নেতারা এলাকায় অবস্থান করতে পারছেন। অন্যদিকে অনেকেই সরাসরি দলের ভেতরে অন্তর্ঘাতের অভিযোগ তুলেছেন।