কলাবাগান থানার ওসি ও দুই এসআই প্রত্যাহার: ১ কোটি টাকা চাঁদাবাজির অভিযোগ

রাজধানী (Capital) এর কলাবাগান থানার (Kalabagan Police Station) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোক্তারুজ্জামান (Moktaruzzaman) এবং দুই উপ-পরিদর্শক (এসআই) বেলাল (Belal) ও মান্নান (Mannan)–কে প্রত্যাহার করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে।

প্রশাসনিক প্রত্যাহার দাবি ডিএমপির

ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) (Dhaka Metropolitan Police) বলেছে, প্রশাসনিক কারণে এই প্রত্যাহার করা হয়েছে। সোমবার ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর (Muhammad Talebur) কালের কণ্ঠকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তবে পুলিশ সদর দপ্তরের একটি সূত্র জানায়, তাদেরকে সাময়িক বরখাস্তও করা হয়েছে, যদিও এ বিষয়ে সরকারি নিশ্চিতি এখনো পাওয়া যায়নি।

অভিযোগ করেছেন শিক্ষাবিদ ড. আব্দুল ওয়াদুদ

এই ঘটনায় লিখিত অভিযোগ করেছেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও ফিকামলি তত্ত্বের জনক ড. আব্দুল ওয়াদুদ (Dr. Abdul Wadud)। অভিযোগে তিনি জানান, গত ২৯ এপ্রিল গভীর রাতে এসআই বেলালের নেতৃত্বে পুলিশ ও ‘সন্ত্রাসী’ দলের সদস্যরা তার বাড়িতে হানা দেয়।

ঘটনার বিবরণ

আব্দুল ওয়াদুদের অভিযোগ অনুযায়ী, পুলিশ ও ১৫-২০ জন ‘সন্ত্রাসী’ তার বাড়িতে জোরপূর্বক প্রবেশ করে। তার ম্যানেজার ৯৯৯-এ ফোন করলে শাহবাগ (Shahbagh) ও নিউমার্কেট থানার (New Market Police Station) টহল টিম এসে পৌঁছায়, কিন্তু ওসি মোক্তারুজ্জামান তাদের চলে যেতে বলেন।

একজন ভাড়াটিয়া ও নাইট গার্ড ঘটনাটি ওই টহল টিমকে জানাতে গেলে ওসি তাদের পুলিশের গাড়িতে তুলে নেন। এসব ঘটনার ভিডিও ফুটেজ আব্দুল ওয়াদুদের বাড়ির সিসিটিভিতে ধারণ করা হয়েছে বলে দাবি করা হয়।

অর্থ আদায়ের অভিযোগ

অভিযোগে আরও বলা হয়, পুলিশ তৃতীয় তলার দরজা ভাঙার চেষ্টা করে এবং ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়। দরজা খোলার পর এসআই বেলাল ও মান্নান তাকে ঘরের ভেতরে টেনে নিয়ে অস্ত্র সম্পর্কে জানতে চায়। পরে মান্নান তাকে বলেন, ১ কোটি টাকা দিলে থানায় নিতে হবে না; টাকা না দিলে ১০টি মামলা দেওয়া হবে।

উপায়ান্তর না দেখে ড. ওয়াদুদ দুই লাখ টাকা তাদের হাতে দেন এবং বাকি টাকা ব্যাংকিং সময়ের মধ্যে দেবেন বলে জানান। এরপরে তিনজন ‘ডিবি পুলিশ’ পরিচয় দেওয়া ব্যক্তি তাকে পাহারা দিতে থেকে যায়। যাওয়ার সময় বেলাল ভিডিও করে একটি স্বীকারোক্তিমূলক বক্তব্যও আদায় করে যে, কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।