সরকার কাঙ্ক্ষিত কাজ কেন করতে পারছে না, ফেসবুক পোস্টে জানালেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম

অন্তর্বর্তী সরকার (Interim Government) ক্ষমতায় আসার পর আট মাস পেরিয়ে গেলেও কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন আনতে ব্যর্থ হওয়ায় শুরু হয়েছে সমালোচনা। এই প্রেক্ষাপটে সরকারের সীমাবদ্ধতা এবং কার্যকারণ ব্যাখ্যা করে ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছেন তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম (Mahfuz Alam)।

বুধবার রাতে আব্দুল হামিদ (Abdul Hamid) থাইল্যান্ডে চলে যাওয়ার পর সমালোচনার মুখে পড়ে সরকার। এ প্রেক্ষাপটে মাহফুজ আলম ‘কৈফিয়ত কিংবা বাস্তবতা’ শীর্ষক এক দীর্ঘ পোস্টে সরকারের অকার্যকারিতা ও কাঠামোগত জটিলতার বিষয়গুলো তুলে ধরেন।

“ক্ষমতার ভরকেন্দ্র অনেক, কাজ করে অন্যরা”

মাহফুজ লিখেন, “ক্ষমতার ভরকেন্দ্র অনেকগুলো। ফলে দায় সরকারের হলেও কাজ বাস্তবায়ন করে অন্যান্য ভরকেন্দ্র। এই জোড়াতালির গণতান্ত্রিক রূপান্তর ব্যর্থ। রাজনৈতিক দলগুলো এখন সহযোগী নয়, বরং প্রশাসন, পুলিশ, বিচার বিভাগে আধিপত্য বজায় রেখেছে।”

তিনি অভিযোগ করেন, এস্টাবলিশমেন্ট পুরাতন দ্বিদলীয় বন্দোবস্তে ফিরে যেতে এবং ছাত্রদের রাজনীতি থেকে ছেঁটে ফেলতে তৎপর।

“ছাত্রদের প্রতিনিধিত্ব নেই, বিভক্তির শিকার”

মাহফুজ জানান, “প্রায় তিন ডজন সরকারি নিয়োগপ্রাপ্তদের মধ্যে ছাত্র মাত্র দু’জন। ছাত্রদের বিভক্তি, অভিজ্ঞতার অভাব এবং কোরামবাজির কারণে তারাও প্রভাব বিস্তার করতে পারছেন না।” তিনি বলেন, “ছাত্র-জনতা অভ্যুত্থানের ফোর্স হয়েও সুশাসনের কাঠামোতে জায়গা পাননি।”

“বিচারহীনতা ও অভ্যুত্থানের ব্যর্থতা”

গুম, খুন, অর্থ পাচারসহ অপরাধের বিচার না হওয়াকে ব্যর্থতা হিসেবে তুলে ধরেন মাহফুজ। তিনি বলেন, “পুরাতন রাজনৈতিক অর্থনীতিতে হাত পড়েনি, বিচার বিভাগ এখনও পুরনো দলীয় বৃত্তে বন্দী।”

তিনি আরও যোগ করেন, “শহীদ-আহতদের ন্যায্যতা নিশ্চিত হয়নি। অভ্যুত্থান শহর থেকে গ্রামে ছড়াতে পারেনি।”

“সমাধান কী?”

পোস্টের শেষে মাহফুজ আলম লেখেন, “সমাধান একটাই—রাষ্ট্র ও এস্টাবলিশমেন্টে ছাত্রদের ন্যায্য হিস্যা নিশ্চিত করা এবং ফ্যাসিবাদী শক্তি ও তাদের দালালদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ আঘাত। এজন্য ছাত্রদের মধ্যে সততা, আদর্শ, নিষ্ঠা ও ঐক্য ফিরিয়ে আনতে হবে।”