বিএনপি (BNP)-র স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ (Salahuddin Ahmed) বলেছেন, “আমরা কেন শাহবাগে যাবো? আমাদের দাবি আমরা বহু আগেই মাননীয় প্রধান উপদেষ্টাকে (Chief Adviser) লিখিত ও মৌখিকভাবে জানিয়েছি।” রোববার (১১ মে) এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
আগেই জানানো হয়েছে দাবি
তিনি বলেন, “আমরা বিভিন্ন সেমিনার, সিম্পোজিয়াম ও অনুষ্ঠানে বারবার বলেছি—আওয়ামী লীগকে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে বিচারিক প্রক্রিয়ার আওতায় আনতে হবে।” সালাহউদ্দিন জানান, বেশ কয়েক মাস আগে দলীয়ভাবে লিখিত দাবি প্রধান উপদেষ্টার কাছে পেশ করা হয়। যদি তখন বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করা হতো, তাহলে সরকারকে আজ বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হতো না।
“আ.লীগ রাজনৈতিক দল নয়, একটি মাফিয়া সংগঠন”
সালাহউদ্দিন বলেন, “আওয়ামী লীগের ডিএনএতেই গণতন্ত্র নেই। তারা দীর্ঘদিন ধরে ফ্যাসিবাদ ও মাফিয়া তন্ত্রের চর্চা করেছে। এখন তারা আর রাজনৈতিক দল নয়, বরং একটি মাফিয়া সংগঠন। তাদের আর রাজনৈতিক দলের তকমা দেওয়ার প্রয়োজন নেই।” তিনি আরও বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যেসব দল মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত, তাদের নিষিদ্ধ করা হয়েছে—এমন উদাহরণ জার্মানি ও অন্যান্য দেশেও আছে।
সরকারের সাম্প্রতিক উদ্যোগকে স্বাগত বিএনপির
তিনি দেরিতে হলেও সরকারকে স্বাগত জানান যে, তারা এখন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মাধ্যমে বিচারিক প্রক্রিয়া শুরু করেছে। “আমরা চাই, ভবিষ্যতেও সরকারের কাছে আমাদের পরামর্শগুলো সময়মতো আমলে নেওয়া হোক। দেশের স্বার্থে আমরা আন্তরিকভাবে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত,” বলেন সালাহউদ্দিন।
নির্বাচন ও রোডম্যাপ প্রসঙ্গে মতামত
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে সালাহউদ্দিন বলেন, “মানুষ এখন ভোটাধিকার প্রয়োগে আগ্রহী। এজন্য আমরা আগেও প্রধান উপদেষ্টাকে অনুরোধ করেছি, যেন দ্রুত একটি রোডম্যাপ ঘোষণা করা হয়। না হলে পূর্বের মতোই বিব্রতকর পরিস্থিতির পুনরাবৃত্তি ঘটতে পারে।”
সন্ত্রাসবিরোধী আইনে নিষেধাজ্ঞার বিধান সংশোধনের দাবি
তিনি জানান, সরকার জানিয়েছে বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগ (Awami League) ও তার অঙ্গসংগঠনের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ করতে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আওতায় পদক্ষেপ নিচ্ছে। এই আইনে কিছু সংশোধনী আনতে হবে যাতে বিচারাধীন অবস্থায় কার্যকর নিষেধাজ্ঞা প্রদান সম্ভব হয়। বিএনপি এই উদ্যোগকে স্বাগত জানায়।