অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম (Information Advisor Mahfuz Alam) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি বিতর্কিত পোস্ট করেন, যা মাত্র ৩ মিনিট পরই মুছে ফেলেন। তবে পোস্টটি ডিলিট করলেও তা সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায় এবং শুরু হয় ব্যাপক সমালোচনা ও আলোচনা।
কী ছিল সেই পোস্টে?
রোববার (১১ মে) সন্ধ্যা পৌনে সাতটার দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডি থেকে করা ওই পোস্টে মাহফুজ আলম লেখেন—
“আমাকে নিয়ে নোংরামি করতেসো, ঝামেলা নাই। ফ্যামিলি টাইনো না, যুদ্ধাপরাধের সহযোগী রাজাকারেরা। এটা লাস্ট ওয়ার্নিং।
আর, যে চুপা শিবিররা এ সরকারে পদ বাগাইসো আর বিভিন্ন সুশীল ব্যানার খুলে পাকিস্তানপন্থা জারি রাখসো, তোমরা তোমাদের পূর্বপুরুষ রাজাকার আর দালালদের তুলনায় আরো অধিক ভুগবা।
যারা বিতর্কের এবং গালাগালির লিমিট জানে না, তাদের আমি সহনাগরিক মনে করিনা।
পাকিস্তানপন্থীরা যেখানেই থাকবে, সেখানেই আঘাত করা হবে। আমৃত্যু!
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (University of Dhaka)তে এ রাজাকারদের আগে ঠেকানো হবে, যারা এদের স্পেস দিসে তাদের জন্য গত পঞ্চাশ বছরের তুলনায় অধিক জিল্লতি অপেক্ষা করসে!”
আগের পোস্ট থেকে বিতর্কের সূচনা
ধারণা করা হচ্ছে, এর আগে একটি পোস্টে তিনি যুদ্ধাপরাধের সহযোগীদের প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানানোর পর থেকেই বিতর্কের সূত্রপাত। সেই পোস্টে তিনি লেখেন—
“১. ’৭১ এর প্রশ্ন মীমাংসা করতেই হবে। যুদ্ধাপরাধের সহযোগীদের ক্ষমা চাইতে হবে।
বাংলাদেশে রাজনীতি করতে হলে পাকিস্তানপন্থা বাদ দিতে হবে। পাকিস্তান এদেশে গণহত্যা চালিয়েছে।
(পাকিস্তান অফিশিয়ালি ক্ষমা চাইলেও, তদুপরি আবারও ক্ষমা চাইতে রাজি হলেও, যুদ্ধাপরাধের সহযোগীরা এখনো ক্ষমা চায়নি।)
ইনিয়ে বিনিয়ে গণহত্যার পক্ষে বয়ান উৎপাদন বন্ধ করতে হবে।
জুলাইয়ের শক্তির মধ্যে ঢুকে স্যাবোট্যাজ করা বন্ধ করতে হবে।”
এই পোস্টে তাঁর বক্তব্যের পর একাধিক পক্ষের সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি। ধারণা করা হচ্ছে, তার পরিবার নিয়েও কটাক্ষ হওয়ায় প্রতিক্রিয়ায় তিনি দ্বিতীয় পোস্টটি দেন, যেটি ছিল তীব্র ভাষায় লেখা এবং মুছে ফেলা হয় মাত্র ৩ মিনিটের মাথায়।
সামাজিক প্রতিক্রিয়া: সমালোচনা ও ব্যঙ্গ
একজন দায়িত্বশীল পদে থাকা উপদেষ্টার এমন বক্তব্য কেউই স্বাভাবিকভাবে নেয়নি। ফেসবুকে তার এই পোস্টের স্ক্রিনশট ভাইরাল হয়, এবং সমালোচকরা নানা ব্যঙ্গাত্মক ক্যাপশনসহ তা শেয়ার করছেন। অধিকাংশ প্রতিক্রিয়া নেতিবাচক এবং অনেকেই তাঁর অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন।