আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের (Awami League) রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ ঘনঘোর অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে। একটি জাতীয় দৈনিকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে (International Crimes Tribunal) বিচার কার্যক্রম সম্পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত দলটির সকল কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
নির্বাচনে অংশগ্রহণের পথ বন্ধ?
এই নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়িত হলে, আওয়ামী লীগের পক্ষে দলীয় প্রতীক ব্যবহার করে কোনো প্রার্থী নির্বাচন করতে পারবে না। এমনকি নির্বাচন কমিশন (Election Commission) থেকে দলটির নিবন্ধন বাতিলের ঝুঁকিও তৈরি হয়েছে। যদি এই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়, তবে দেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগ প্রথমবারের মতো জাতীয় নির্বাচনের বাইরে চলে যাবে।
বিশ্লেষকদের দৃষ্টিতে রাজনৈতিক মোড় পরিবর্তন
বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি দেশের রাজনীতিতে এক বড় মোড় পরিবর্তন। সরকার এই নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে একটি যুগের অবসান ঘটাতে যাচ্ছে, যার প্রভাব দীর্ঘমেয়াদে দেশের রাজনৈতিক ভারসাম্যে পড়বে।
‘প্রজ্ঞাপনের অপেক্ষায়’ মন্তব্য হাসনাতের
এ বিষয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টি (National Citizens’ Party)র দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ (Hasnat Abdullah) তাঁর ভেরিফায়েড ফেসবুক টাইমলাইনে সংবাদটি শেয়ার করে সংক্ষেপে লিখেছেন: “প্রজ্ঞাপনের অপেক্ষায়।”
এই মন্তব্য থেকেই স্পষ্ট, বিরোধী রাজনৈতিক শক্তিগুলো আওয়ামী লীগের ওপর সম্ভাব্য নিষেধাজ্ঞাকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি নিচ্ছে এবং রাজনৈতিক মাঠে নিজেদের অবস্থান সুসংহত করার চেষ্টা করছে।
রাজনৈতিক অঙ্গনে জল্পনা-কল্পনা
এই পরিস্থিতিতে দেশের রাজনৈতিক মহলে নানা জল্পনা-কল্পনা দেখা দিয়েছে। প্রজ্ঞাপন জারি হলে বাস্তবতা পরিষ্কার হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। অনেকে একে বাংলাদেশে রাজনৈতিক পুনর্বিন্যাসের সূচনাবিন্দু হিসেবেও দেখছেন।