বিএনপির (BNP) কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন (Barrister Mir Mohammad Helal Uddin) বলেছেন, একাত্তরের ভূমিকা নিয়ে জামায়াতে ইসলামীর (Jamaat-e-Islami) পক্ষ থেকে একটি ‘ফরমাল অ্যাপোলজি’ বা আনুষ্ঠানিক দুঃখপ্রকাশ করা উচিত। এতে দলের রাজনৈতিক ক্ষতি হবে না বরং নতুন প্রজন্মের নেতাকর্মীদের মধ্যে স্বস্তি আসবে বলে মত দিয়েছেন তিনি।
জামায়াতের নিবন্ধন ও দায়বদ্ধতার প্রশ্ন
মঙ্গলবার (১৩ মে) একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের টকশোতে অংশ নিয়ে ব্যারিস্টার হেলাল বলেন, “জামায়াত ইসলামী বাংলাদেশের এখনো নিবন্ধন পুনর্বহাল হয়েছে কিনা, আমি নিশ্চিত নই। তবে তারা এখন স্বাধীন বাংলাদেশ, জাতীয় পতাকা এবং সংগীত মেনে নেয়—এটা ইতিবাচক। তবে একাত্তরের ঘটনা যারা এক্সেপ্ট করেন না, তাদের উচিত এই প্রসঙ্গে একটি দুঃখপ্রকাশের ভাষা খুঁজে বের করা।”
দুঃখপ্রকাশেই মুক্তি
তিনি বলেন, “একটা ফরমাল অ্যাপোলজি যে, হ্যাঁ এটা ব্যাড ইন্সিডেন্ট, ব্যাড ডিসিশন—এই বার্তাটি আসা জরুরি। কারণ এটা প্রতিষ্ঠিত সত্য যে একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধ ঘটেছিল। আজ যারা রাজনীতিতে আছেন তাদের অনেকেই তখন রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন না। তাই এটি ঐতিহাসিক দায় মেটানোর একটি উপায় হতে পারে।”
রাজনৈতিক ক্ষতি নয়, বরং সমঝোতা
ব্যারিস্টার হেলাল মনে করেন, এই ধরনের একটি অবস্থান গ্রহণ করলে রাজনৈতিক ক্ষতি হবে না। বরং, যারা এখন জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশে রাজনীতিতে যুক্ত হচ্ছেন, তাদের মধ্যে এই ঐতিহাসিক ইস্যু থেকে স্বস্তি ফিরে আসবে এবং বারবার যে বিতর্ক ফিরে আসে তা প্রশমিত হবে।
তিনি আরও বলেন, “স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে যারা মেনে নিচ্ছেন, তাদের উচিত জাতির সামনে পরিষ্কার অবস্থান উপস্থাপন করা। এর মাধ্যমেই ভবিষ্যতের রাজনীতিতে আস্থা তৈরি করা সম্ভব।”