ন্যায়বিচারের দৃষ্টান্ত স্থাপনের অঙ্গীকার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের

প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ (Syed Refaat Ahmed) বলেছেন, “আমরা এমন দৃষ্টান্ত রেখে যেতে চাই, যাতে ভবিষ্যতে সবাই বলে—বাংলাদেশের বিচার বিভাগ শুধু রায় দেয়নি, বরং প্রকৃত ন্যায়বিচার নিশ্চিত করেছে।”

বুধবার (১৪ মে) বিকেলে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) মিলনায়তনে ‘ন্যায়বিচার প্রাপ্তিতে লিগ্যাল এইডের ভূমিকা’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইড কমিটি (Supreme Court Legal Aid Committee)।

বিচার সংস্কারে সম্মিলিত চেষ্টার আহ্বান

সভায় সভাপতিত্ব করেন বিচারপতি কাজী জিনাত হক (Justice Kazi Zinat Hoque)। বক্তব্য দেন আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম (Justice Md. Ashfaqul Islam), অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান (Attorney General Md. Asaduzzaman), সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল আজিজ আহমদ ভূঞা (Registrar General Aziz Ahmed Bhuiyan), সৈয়দ আজাদ সুবহানী (Syed Azad Subhani) এবং ব্যারিস্টার এএম মাহবুব উদ্দিন খোকন (Barrister A.M. Mahbub Uddin Khokon)।

প্রধান বিচারপতি বলেন, “বিচার সংস্কার একটি চ্যালেঞ্জপূর্ণ প্রক্রিয়া হলেও আমি দেশের বিচার বিভাগের ইতিবাচক সাড়া দেখে অনুপ্রাণিত হয়েছি। রাজধানীসহ সাতটি বিভাগ সফর করে আমি বিচারব্যবস্থার সংস্কার বার্তা পৌঁছে দিয়েছি।”

আন্তর্জাতিক সহযোগিতায় বিচার ব্যবস্থার উন্নয়ন

তিনি বলেন, “গত ডিসেম্বর থেকে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) (UNDP) আমাদের সংস্কার প্রক্রিয়ার অংশ। ইউরোপীয় ইউনিয়ন (European Union), যুক্তরাজ্য (United Kingdom) ও সুইডেন (Sweden)সহ অন্যান্য উন্নয়ন অংশীদাররা কেবল প্রযুক্তিগত নয়, নৈতিক সমর্থনও দিয়ে চলেছেন।”

প্রধান বিচারপতি বলেন, “আমাদের বিচার সংস্কারের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকবে সেই সাধারণ মানুষ, যারা দেশের প্রান্তিক অঞ্চল থেকে ন্যায়বিচারের আশায় পথ চেয়ে থাকেন।”

হেল্পলাইন সেবা চালুর ঘোষণা

সবার জন্য সমান বিচার সেবা নিশ্চিত করতে প্রধান বিচারপতি জানান, দেশের ৬৪ জেলা ও ৮টি মহানগর এলাকায় হেল্পলাইন সেবা চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, “এই হেল্পলাইনের মাধ্যমে বিচারপ্রার্থী যে কেউ তাৎক্ষণিক অভিযোগ জানাতে পারবেন, যা বিচার ব্যবস্থাকে আরও স্বচ্ছ ও কার্যকর করে তুলবে।”

তিনি আরও জানান, সুপ্রিম কোর্টের মতো হেল্পলাইন চালু করে অধস্তন আদালত ও ট্রাইব্যুনালের সেবায় প্রতিবন্ধকতা ও অনিয়ম দূর করার প্রচেষ্টা নেওয়া হচ্ছে।