১৯৭২ পরবর্তী সময় থেকে শিক্ষা নেয়নি আওয়ামী লীগ: অধ্যাপক ফজলুল হক

রাষ্ট্রচিন্তাবিদ অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক (Abul Kashem Fazlul Haque) বলেছেন, ১৯৭২ সালের পরবর্তী সময় থেকে শিক্ষা না নেওয়ার কারণে আজ আওয়ামী লীগ (Awami League) এই অবস্থায় এসে পৌঁছেছে। তিনি বলেন, বর্তমান কিংবা অতীতের কার্যক্রমের ভিত্তিতে দলটির রাজনীতিতে ফিরে আসার আর কোনো সুযোগ নেই বলেই মনে হয়।

শেখ হাসিনাকে এককভাবে দায়ী

২০২৪ সালে এসে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক পতনের জন্য তিনি এককভাবে শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina)কে দায়ী করেন। তাঁর মতে, আওয়ামী লীগ ১৯৭২ সালের পরবর্তী সময়ের ঘটনাবলি থেকে শিক্ষা নেয়নি, যার ফল আজকের রাজনৈতিক নিষ্ক্রিয়তা।

পতন ও নিষিদ্ধ ঘোষণা

৫ আগস্ট একটি তীব্র গণঅভ্যুত্থানের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। এরপর ১৫ বছরের সীমাহীন দুর্নীতি এবং জনগণকে হত্যার অভিযোগে দলটির বিরুদ্ধে তদন্ত বা জবাবদিহিতা না থাকায় বিচার দাবি জোরালো হয়। ফলে দলটির সব ধরনের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়।

ভাঙা স্ট্যাচু, বদলে যাওয়া নাম

অধ্যাপক ফজলুল হক বলেন, “জনগণ সহসা এই দলকে গ্রহণ করবে না। শেখ মুজিবের স্ট্যাচু ভাঙা, প্রতিষ্ঠানের নাম বদল, এমনকি ৩২ নম্বর বাড়ির নিচের ফাউন্ডেশন পর্যন্ত তুলে ফেলা—সবকিছু এক তীব্র জেদের বহিঃপ্রকাশ।”

ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে দলটির আচরণের ওপর

তিনি মনে করেন, আওয়ামী লীগের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে তাদের কর্মপ্রক্রিয়ার ওপর। দলটি যদি চরিত্র বদলে ফিরে আসতে চায়, তাহলে সময়ই বলে দেবে তারা টিকে থাকতে পারবে কিনা।

ঐতিহাসিক পর্যালোচনায় শেখ মুজিব ও বাকশাল

ফজলুল হক বলেন, “শুধু শেখ হাসিনার সময় নয়, বরং শেখ মুজিবুর রহমান যখন বাকশাল গঠন করেন, তখনও গণভিত্তির ঘাটতি ছিল। খন্দকার মোশতাকও ছিলেন আওয়ামী লীগের নেতা। শেখ হাসিনার বিদায় বা পালিয়ে যাওয়ার মধ্যেও ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি রয়েছে।”

তাঁর মতে, ইতিহাস থেকে শিক্ষা না নিলে রাজনৈতিক দলগুলোর এমন পরিণতি হতেই থাকে।