সাবেক সংসদ সদস্য ও কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগম (Momtaz Begum)–এর আত্মগোপন ও গ্রেপ্তার নিয়ে সামনে এলো একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য। নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ (Awami League)–এর প্রাক্তন এমপি হিসেবে ৫ আগস্ট পতনের পর মমতাজ টানা তিন মাস ছিলেন সিংগাইরে ভাইয়ের বাড়িতে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তার ভাই এবারত হোসেন এবং তৃতীয় স্বামী ডা. এসএম মঈন হাসান (Dr. SM Moin Hasan)।
সিসি ক্যামেরার নিরাপত্তায় আত্মগোপন
বৃহস্পতিবার এবারত হোসেন জানান, মমতাজ ৫ আগস্টের পরদিন থেকে সিংগাইরের চরদুর্গাপুরে তাদের বাড়িতে আত্মগোপনে ছিলেন। মোবাইল যোগাযোগ বন্ধ রাখতেন এবং প্রয়োজন হলে শুধু ভাইয়ের মাধ্যমে যোগাযোগ করতেন। এলাকার সিসি ক্যামেরা ও কৌশলী ব্যবস্থাপনার কারণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও বিষয়টি জানতে পারেনি।
গোপনে ঢাকায় যাত্রা
পরে তিনি বোরকা পরে মধ্যরাতে কালো গ্লাসের মাইক্রোবাসে করে ধানমন্ডির একটি ভাড়া বাসায় যান। বাসাটি ভাড়া নেন তার ঘনিষ্ঠ বান্ধবী নিপা, যার স্বামী প্রবাসে থাকেন। ওই সময় নিপা মমতাজের দেখভাল করতেন এবং তার সাবেক পিএস জুয়েল অর্থের জোগান দিতেন।
তৃতীয় স্বামীর বিস্ফোরক দাবি
মমতাজের তৃতীয় স্বামী ডা. মঈন হাসান জানিয়েছেন, মমতাজ কিছুদিন ছিলেন সাবেক দ্বিতীয় স্বামী ও মানিকগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র রমজান আলীর মেয়ের বাসায়। পরে নিপার বাসায় আশ্রয় নেন। যদিও রমজানের ঘনিষ্ঠ স্বজন সানোয়ার হোসেন এই দাবি অস্বীকার করেছেন।
ডা. হাসান আরও দাবি করেন, মমতাজের মহাখালী ডিওএইচএসে নিজের নামে থাকা পাঁচতলা বাড়ি বর্তমানে পিএস কাম বয়ফ্রেন্ড জুয়েল দখলে রেখেছেন। বারবার ফোন দিয়েও তার সাড়া মেলেনি। তিনি এও জানান, গত তিন বছর ধরে মমতাজের সঙ্গে তার কোনো যোগাযোগ নেই।
পুলিশি প্রতিক্রিয়া
সিংগাইর থানা (Singair Police Station)–র ওসি জেওএম তৌফিক আজম জানান, তিনি মাত্র দুই মাস আগে এই থানায় যোগ দিয়েছেন এবং মমতাজের আত্মগোপনের বিষয়ে কিছুই জানেন না।
বর্তমানে মমতাজ ৪ দিনের পুলিশি রিমান্ডে আছেন। তাকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (Dhaka Metropolitan Detective Police)।