‘পশ্চিমা চোখে দেখলে দেশের খেলায় হারবেন’: ড. ইউনূসকে তুহিন মালিকের সতর্ক বার্তা

অন্তর্বর্তী সরকারের চলমান সিদ্ধান্ত ও ভূমিকা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এবং সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. তুহিন মালিক (Dr. Tuhin Malik) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক কঠোর ও সতর্কতামূলক বার্তা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “আপনি সবকিছু এনজিও-এর চোখে কিংবা পশ্চিমা-র চোখে দেখলে দেশের মাঠের খেলায় হেরে যাবেন।”

সীমিত মেয়াদের সরকারের জন্য সীমিত কাজের আহ্বান

শনিবার রাতে নিজের ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেছেন, “অন্তর্বর্তী সরকার (Interim Government) একটি সীমিত ওভারের খেলার মতো—এখানে বল ও ওভার সীমিত। তাই পিচের বাইরে বল ছুড়লে, অর্থাৎ দায়িত্বের সীমা ছাড়িয়ে গেলে তা বিপজ্জনক হতে পারে।”

তিনটি বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন

তুহিন মালিক তার পোস্টে তিনটি ইস্যুতে সরাসরি সমালোচনা করেন:

**১. চট্টগ্রাম বন্দরের (Chittagong Port) ব্যবস্থাপনা বিদেশিদের হাতে দেওয়া
তিনি বলেন, “বন্দর এখন লাভজনক ও আধুনিক প্রযুক্তিতে পরিচালিত। তা হলে কেন বিদেশিকে দায়িত্ব দিতে হবে? এতে জাতীয় নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্বের প্রশ্ন জড়িত।”

২. রাখাইনে (Rakhine) মানবিক করিডোর:
“এই করিডোর দিয়ে দেশের লাভ কী—সরকার পরিষ্কার করছে না। একেকজন একেক কথা বলছে। এমন অবস্থায় মানুষ চায় না বাংলাদেশ আঞ্চলিক সংঘাতে জড়াক।”

৩. নারী সংস্কার কমিশন:
এই কমিশনের প্রস্তাবনাকে তিনি জাতিকে বিভক্তির পথে ঠেলে দেওয়া বলে মন্তব্য করেন। বলেন, “এর কিছু প্রস্তাবনা আমাদের সংস্কৃতি, ধর্মীয় ও পারিবারিক মূল্যবোধের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।”

ড. ইউনূসের ভূমিকা নিয়ে সরাসরি মন্তব্য

ড. মুহাম্মদ ইউনূস (Muhammad Yunus)–এর ভূমিকা নিয়ে তিনি লিখেছেন, “আপনি বিশ্ববরেণ্য, এনজিও দুনিয়ার পথিকৃৎ, নোবেলজয়ী। কিন্তু দেশীয় রাজনীতির মাঠের খেলা আন্তর্জাতিক প্লেবুক দিয়ে খেলা যাবে না। এখানে অভিজ্ঞতা, প্রেক্ষাপট ও জনমতের গুরুত্ব আছে।”

তুহিন মালিক মনে করিয়ে দেন, “চট্টগ্রাম বন্দর, রাখাইন করিডোর ও নারী সংস্কার কমিশনের মতো বিষয় কোনোভাবেই অন্তর্বর্তী সরকারের ‘মূল সংস্কার কাঠামোর এজেন্ডা’ নয়।”

‘সঠিক এজেন্ডায় থাকুন’

তিনি শেষ করেন এই বার্তায়: “সঠিক এজেন্ডায় থাকুন। রাউন্ড দা উইকেট বল করুন। কারণ আমরা চাই না আপনি হেরে যান।”