সম্প্রতি ফ্যাসিস্ট দল হিসেবে চিহ্নিত করে আওয়ামী লীগ (Awami League) নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ২০২৪ সালের গণহত্যার বিচার না হওয়া পর্যন্ত দলটির সব ধরনের কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। এই নিষেধাজ্ঞার পর রাজনৈতিক অঙ্গনে শুরু হয়েছে তুমুল আলোচনা—এই সিদ্ধান্তে কারা ক্ষতিগ্রস্ত এবং কারা লাভবান হলেন? এই বিষয়ে সম্প্রতি এক বেসরকারি স্যাটেলাইট টেলিভিশনের লাইভ টকশোতে মতামত দেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক ডা. জাহেদ উর রহমান (Dr. Zahed Ur Rahman)।
হাসিনার কৌশল ব্যর্থ হয়েছে
উপস্থাপিকার প্রশ্নের জবাবে ডা. জাহেদ বলেন, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হওয়ায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন স্বয়ং শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina)। তিনি ব্যাখ্যা করেন, শেখ হাসিনা পরিকল্পনা করেছিলেন দেশে অবস্থানরত আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের দিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করিয়ে, তাদের ওপর হামলা করিয়ে সেই ছবি বিদেশি মিডিয়ায় তুলে ধরবেন। এর মাধ্যমে আন্তর্জাতিক সহানুভূতি আদায়ের পরিকল্পনা ছিল তার। কিন্তু দল নিষিদ্ধ হওয়ায় এই পরিকল্পনাই ভেস্তে গেছে।
নেতা-কর্মীরা কেন লাভবান?
ডা. জাহেদের মতে, দলের নিষিদ্ধ হওয়ায় সবচেয়ে বেশি লাভবান হয়েছেন মাঠপর্যায়ের আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা। কারণ, নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলে বা রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে থাকলে তারা হামলার মুখে পড়তেন। অনেকেই হয়তো প্রাণ হারাতেন। কিন্তু দল নিষিদ্ধ হওয়ায় তারা সেই পরিস্থিতি থেকে রক্ষা পেয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, “হাসিনার কাছে এসব কর্মীর জীবন-মৃত্যুর কোনো মূল্য নেই। তাই এই নিষেধাজ্ঞা নেতা-কর্মীদের জন্য একরকম আশীর্বাদ।”
প্রোপাগান্ডার উদাহরণ
আলোচনার একপর্যায়ে ডা. জাহেদ একটি কলরেকর্ডের উল্লেখ করেন, যেখানে শেখ হাসিনাকে নির্দেশ দিতে শোনা যায় যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ছবি সামনে রেখে আন্দোলন চালানোর এবং সেই দৃশ্য ক্যামেরাবন্দী করার।
এই মন্তব্য ও বিশ্লেষণ এখন নতুন করে আলোচনায় এসেছে রাজনৈতিক মহলে, বিশেষ করে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হওয়াকে ঘিরে তৈরি হওয়া নতুন বাস্তবতায়।