ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক জুলাই অভ্যুত্থানে তীব্র গণরোষের মুখে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina) দেশত্যাগে বাধ্য হন। এরপর গঠিত হয় অন্তর্বর্তী সরকার, যার অন্যতম লক্ষ্য বাংলাদেশ (Bangladesh)কে ফ্যাসিবাদমুক্ত রাষ্ট্রে পরিণত করা। এই লক্ষ্য বাস্তবায়নে একটি সুস্পষ্ট রোডম্যাপ উপস্থাপন করেছেন সংবিধান বিশেষজ্ঞ ও সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)–এর আইনজীবী তুহিন মালিক (Tuhin Malik)।
রবিবার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে ড. তুহিন মালিক “ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশের রোডম্যাপ” শিরোনামে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ এজেন্ডা উপস্থাপন করেন।
তুহিন মালিকের ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশের ৩ এজেন্ডা:
- জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র হবে ফ্যাসিবাদের মৃত্যুসনদ।
-
সরকারের প্রতিশ্রুত সময়সীমা অনুযায়ী, আগামী ২৪ কার্যদিবসের মধ্যে এটি প্রকাশ করতে হবে।
-
ট্রাইব্যুনালের রায়ে হবে ফ্যাসিবাদের মৃত্যুদণ্ড।
-
এই রায় আসবে আগামী আগস্ট-সেপ্টেম্বরের মধ্যে।
-
নতুন সংবিধানে থাকবে ফ্যাসিবাদের চিরবিদায়।
- নতুন সংবিধান প্রণয়ন করা হবে সেপ্টেম্বর-অক্টোবরের মধ্যে।
এই তিন দফা রোডম্যাপ প্রসঙ্গে তুহিন মালিক বলেন, “এটাই বিপ্লবের এজেন্ডা, এটাই হাজারো শহিদের এজেন্ডা, এটাই ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশের এজেন্ডা।”