নিবন্ধন হারানোর ঝুঁকিতে আওয়ামী লীগের জোটভুক্ত রাজনৈতিক দলগুলো

আওয়ামী লীগ (Awami League) নিষিদ্ধ ঘোষণার পর এবার নিবন্ধন হারানোর ঝুঁকিতে পড়েছে দলটির শরিক ও সমঝোতাভিত্তিক নির্বাচনী অংশগ্রহণকারী দলগুলো। ১২ মে সরকার সন্ত্রাসবিরোধী আইনে (Anti-Terrorism Act) আওতাভুক্ত করে আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনগুলোর যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে এবং নির্বাচন কমিশন (Election Commission) ওই দিন সন্ধ্যায় দলটির নিবন্ধন স্থগিত ঘোষণা করে।

নিবন্ধন হারানোর ঝুঁকিতে থাকা দলগুলো

ঝুঁকিতে থাকা দলগুলোর মধ্যে রয়েছে:
– মহাজোট সরকারের শরিক জাতীয় পার্টি (Jatiya Party)
– ১৪-দলীয় জোটের শরিক বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টি (Bangladesh Workers Party),
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ (JSD),
সাম্যবাদী দল (Communist Party),
গণতন্ত্রী পার্টি (Gonotontree Party),
বাংলাদেশ ন্যাপ (Bangladesh NAP),
বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন (Bangladesh Tarikat Federation),
জাতীয় পার্টি-জেপি (Jatiya Party-JP)

এছাড়া আওয়ামী লীগের জোটে না থাকলেও দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে সমঝোতায় অংশ নেওয়া বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি (Bangladesh Kallyan Party)-ও নিবন্ধন হারানোর সম্ভাবনায় রয়েছে।

নিবন্ধন বাতিলের দাবিতে আবেদন

গণঅধিকার পরিষদ (Gonoadhikar Parishad) ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) (Jatiya Nagorik Party) ইতোমধ্যে ইসিতে লিখিতভাবে আবেদন জমা দিয়েছে। গত সোমবার নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন (A M M Nasir Uddin)-এর কাছে আবেদন হস্তান্তর করেন গণঅধিকার পরিষদের একটি প্রতিনিধিদল।

জাতীয় নাগরিক পার্টির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, এসব দল পাতানো নির্বাচনে অংশ নিয়েছে, তাই তাদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে তা জনকল্যাণে ব্যয় করা উচিত।

গ্রেফতার, গা-ঢাকা ও অনুপস্থিত নেতারা

ন্যাপ, জেপি ও সাম্যবাদী দলের অনেক নেতাও গা-ঢাকা দিয়েছেন।

একজন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরো সদস্য বলেন, “আমরা আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোট করলেও গণহত্যার পক্ষে ছিলাম না। আমাদের নিবন্ধন বাতিল হলে তা হবে অন্যায়।”

জাতীয় পার্টির বিরোধী দলের ভূমিকা নিয়েও বিতর্ক

২০০৯ সালে মহাজোট সরকার গঠনের সময় জাতীয় পার্টি শরিক ছিল এবং একাদশ ও দ্বাদশ সংসদে বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করেছে। কেউ কেউ বলছেন, জাতীয় পার্টি নির্বাচনে না গেলে আওয়ামী লীগ এককভাবে ভোট করতেও পারত এবং এত সংকট সৃষ্টি হতো না।