বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) (Bangladesh-Nationalist-Party) -এর মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর (Mirza-Fakhrul-Islam-Alamgir) এক ফেসবুক বার্তায় দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি দাবি করেন, সরকারের অভ্যন্তরে অনুপ্রবেশকারী কিছু ব্যক্তি বাংলাদেশকে ভিন্ন পথে প্রবাহিত করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।
বিভাজনের রাজনীতি এবং ষড়যন্ত্রের অভিযোগ
মির্জা ফখরুল বলেন, “দেশে বিভাজনের রাজনীতি আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে।” তিনি অভিযোগ করেন, সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে একে অপরের মুখোমুখি দাঁড় করানোর ষড়যন্ত্র চলছে। এই ঘটনাকে তিনি “গভীর ষড়যন্ত্র” হিসেবে উল্লেখ করেন।
গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার আহ্বান
বিএনপির দায়িত্ব সম্পর্কে তিনি বলেন, দলটি সবসময়ই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার গুরুদায়িত্ব বহন করে এসেছে। এই দায়িত্ব শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান (Ziaur-Rahman) এবং দেশনেত্রী খালেদা জিয়া (Khaleda-Zia) -এর নেতৃত্বের ধারাবাহিকতা রক্ষা ও বর্তমান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান (Tarique-Rahman) -এর অধীনে একটি নতুন স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ করছে।
তিনি বলেন, “বিএনপির প্রতিটি নেতাকর্মীকে সজাগ থাকতে হবে এবং যেকোনো ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। যেন কেউ বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব হরণ করতে না পারে।”
শহীদ রাষ্ট্রপতির আদর্শ স্মরণ
মির্জা ফখরুল বলেন, “বাংলাদেশকে একটি আধুনিক ও সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করার যে কর্মযজ্ঞ শুরু করেছিলেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, তা আমাদের চলমান রাখতে হবে।” তার মতে, জিয়াউর রহমানের আদর্শ আজও দেশের দিকনির্দেশক।
১৫ বছরের ফ্যাসিস্ট শাসনের অভিযোগ
তিনি অভিযোগ করেন, “১৫ বছর ধরে দেশ একটি ফ্যাসিস্ট শাসনের অধীনে ছিল।” দেশের ভেতর ও বাইরের ষড়যন্ত্রকারীরা জনগণের অধিকার কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলেও দাবি করেন তিনি।
নির্যাতন ও গুমের পরিসংখ্যান
বিএনপির নেতাকর্মীদের ত্যাগের কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, “৬০ লাখের বেশি নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা হয়েছে, কয়েক হাজারকে হত্যা করা হয়েছে, প্রায় ১৭০০ নেতাকর্মী গুম হয়েছেন।” তারপরও এখন একটি নতুন বাংলাদেশ গঠনের সুযোগ এসেছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান
সবশেষে তিনি দলের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, “গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং দেশের সার্বিক উন্নয়নে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।”