ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (Dhaka North City Corporation – DNCC)–এর বিরুদ্ধে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগ অস্বীকার করে গণঅধিকার পরিষদ (Gonoadhikar Parishad) দাবি করেছে, এটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। সংগঠনের সভাপতি এবং ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর (Nurul Haque Nur)–কে লক্ষ্য করে এই অভিযোগ আনা হয়েছে।
ডিএনসিসির অভিযোগ
বুধবার ডিএনসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা ফারজানা ববি স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১৮ মে নুরুল হক নুর তাঁর পছন্দের এক ঠিকাদারকে কাজ পাইয়ে দিতে অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ আরিফুর রহমান (Mohammad Arifur Rahman)–কে ফোন করে চাপ দেন।
অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী জানান, কিছু করার সুযোগ নেই। কিন্তু নুর চাপ অব্যাহত রাখেন এবং সিটি করপোরেশনের অফিসে তালা লাগানোর হুমকি দেন। পরে কাজ না পেয়ে নুর ও তাঁর সমর্থকেরা ডিএনসিসির কার্যক্রমে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেন বলে অভিযোগ করা হয়।
গণঅধিকার পরিষদের জবাব
এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে গণঅধিকার পরিষদ পাল্টা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মোহাম্মদ এজাজ (Mohammad Ejaz)–এর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তোলে। তারা দাবি করে, ডিএনসিসির প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন হিযবুত তাহরির (Hizb ut-Tahrir)–এর সদস্য এবং তিনি ২০১৫ সালে জঙ্গিবাদের অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিলেন।
এ অভিযোগের প্রমাণ হিসেবে গণঅধিকার পরিষদ জুলকারনাইন সায়ের (Zulkarnain Saer)–এর একটি ফেসবুক পোস্টের উল্লেখ করেছে। যেখানে সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের আল-জাজিরার অনুসন্ধানের বরাত দিয়ে মোহাম্মদ এজাজের অতীত কর্মকাণ্ড তুলে ধরেন।
৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম ও বিক্ষোভ
গণঅধিকার পরিষদের ঢাকা মহানগর উত্তর শাখা ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে মোহাম্মদ এজাজকে অপসারণ ও গ্রেফতার করার দাবি জানিয়ে ডিএনসিসির সামনে বিক্ষোভ করেছে।
তারা আরও দাবি করে, প্রকৃতপক্ষে কাজ না দেওয়ার কারণ হলো—গণঅধিকার পরিষদের এক সদস্য সর্বোচ্চ দরদাতা হয়েও কমিশন না দেওয়ায় তাঁকে কাজ দেওয়া হয়নি। এই দুর্নীতি ঢাকতে এবং জনদৃষ্টি সরাতে নুরুল হক নুরের বিরুদ্ধে মিথ্যা বার্তা ছড়ানো হচ্ছে।
প্রশাসকের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কাজ পেতে না পারা সদস্য অভিযোগ নিয়ে যখন প্রশাসকের কাছে যান, তখন প্রশাসক তাঁকে প্রকৌশলীর সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন। এই প্রক্রিয়ার মধ্যে কোনো অনিয়ম থাকলে সেটি তদন্ত করা উচিত, মিথ্যা প্রচার নয়।