এনসিপিকে নির্বাচনবিরোধী প্রমাণের ষড়যন্ত্র চলছে: নেতাদের অভিযোগ

জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) (National Citizens’ Party) নেতারা অভিযোগ করেছেন, নির্বাচন ও ছাত্র উপদেষ্টাদের নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে দলটিকে ‘নির্বাচনবিরোধী’ হিসেবে চিত্রিত করার চক্রান্ত চলছে। রাজধানীর অস্থায়ী কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এ অভিযোগ করেন।

দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম (Nahid Islam) বলেন, “প্রধান উপদেষ্টা ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের যে সময়সীমা দিয়েছেন, এনসিপি তা সমর্থন করে। তবে এই সময়ের মধ্যে বিচার ও কাঠামোগত সংস্কার নিশ্চিত করার দাবি আমাদের রয়েছে।”

এর আগে, ১০ মে এনসিপির ছাত্র উপদেষ্টা মাহফুজ আলম (Mahfuz Alam) বলেন, “নির্বাচন হবেই ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে।” তিনি বারবার দলটির নির্বাচনমুখী অবস্থান স্পষ্ট করেছেন।

ছাত্র উপদেষ্টাদের পদত্যাগ দাবি অগণতান্ত্রিক

সংবাদ সম্মেলনে দলের নেতারা বলেন, “দুজন ছাত্র উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবিতে রাস্তায় অবরোধ ও আন্দোলন অগ্রহণযোগ্য ও অগণতান্ত্রিক।”
তাদের মতে, যারা অভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং ইন্টারিম সরকারের অংশ, তাদের হঠাৎ পদত্যাগ চাওয়াটা রাজনৈতিক বিভাজন তৈরির অপচেষ্টা।

সেনা হস্তক্ষেপের বিপদ সম্পর্কে সতর্কতা

নেতারা সতর্ক করে বলেন, “দেশের রাজনীতিতে আবারও সেনা হস্তক্ষেপে সমাধান খোঁজার মনোভাব দেখা যাচ্ছে, যা এক ধরনের ‘সাব-কনশাস প্রবণতা’। আমরা সেনাবাহিনীকে (Bangladesh Army) সম্মান করি, তারা আমাদের স্বাধীনতার রক্ষক, কিন্তু রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের সুযোগ দেওয়া মানে আরেকটি ওয়ান-ইলেভেনকে আমন্ত্রণ জানানো।”

আওয়ামী লীগের বিচারে ঐক্যের আহ্বান

নেতারা আরও বলেন, “যেসব শক্তি আমাদের পাশে ছিল আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার ঐতিহাসিক পদক্ষেপ বাস্তবায়নে, তাদের প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞতা থাকবে। কিন্তু আওয়ামী লীগের বিচারের দাবিতে বড় কোনো দলের নির্লিপ্ততা জনমনে হতাশা সৃষ্টি করছে।”

তারা জোর দিয়ে বলেন, “দ্রুত বিচার, কাঠামোগত সংস্কার এবং একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য সব গণতান্ত্রিক শক্তির ঐক্যবদ্ধ হওয়া এখন সময়ের দাবি।”

নেতাদের মতে, বর্তমান পরিস্থিতিতে সম্ভাবনাকে কাজে না লাগিয়ে যদি অস্থিরতা সৃষ্টি হয়, তবে তা হবে একটি ঐতিহাসিক ব্যর্থতা।