আশুগঞ্জ থানা (Ashuganj Police Station)–র অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহা. বিল্লাল হোসেন (Mohammad Billal Hossain)–এর বিরুদ্ধে মাদক কারবারিদের সঙ্গে সখ্য গড়ে তোলার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগে বলা হয়, তিনি নিজেই মাদক কারবারিদের নিয়ে একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ খুলেছেন এবং রাতভর মদের আড্ডায় অংশ নেন।
টোল প্লাজা দিয়ে চোরাচালান ও মাসোহারা
ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক–এর সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর টোল প্লাজা (Syed Nazrul Islam Bridge Toll Plaza) অবৈধ মাদক ও চোরাচালানের রুটে পরিণত হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। সূত্রমতে, ইয়াবা, ফেনসিডিল, গাঁজাসহ অবৈধ পণ্য সহজেই রাজধানীসহ বিভিন্ন জেলায় পৌঁছাচ্ছে পুলিশের সহযোগিতায়।
আটক মাদক পুনরায় বিক্রির অভিযোগ
জানা গেছে, চলতি বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি ১০ হাজার ইয়াবাসহ দুই মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করে মাত্র ৩০০ ইয়াবা দেখিয়ে চালান দেওয়া হয়। বাকি ইয়াবা পুলিশের সোর্স ও মাদক ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে বিক্রি করা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে।
চিহ্নিত মাদক কারবারিদের সঙ্গে চুক্তি
বিজয়নগর ও আশপাশের এলাকার হানিফ মেম্বার, সিঙ্গারবিলের জহির, চান্দুরার রহিম, ভৈরবের স্বপন দাদা, ঢাকার সাইফুল চাচা প্রমুখ চিহ্নিত মাদক কারবারিরা ওসির সঙ্গে সমঝোতার ভিত্তিতে অবৈধ পণ্য পাচার করছেন।
এসআই ইসহাকের সংশ্লিষ্টতা
এসআই ইসহাক, যিনি আগে বিজয়নগরে কর্মরত ছিলেন, তিনিও টোল প্লাজায় যোগ দিয়ে চোরাকারবারিদের সঙ্গে মাসোহারার চুক্তিতে পণ্য পার করাচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। একেকটি গাড়িতে ৪০-৫০ হাজার টাকা আদায় করা হয়, যার বড় অংশ যায় ওসি বিল্লালের পকেটে।
অর্থের বিনিময়ে মামলা ও গ্রেফতার এড়ানো
অভিযোগ রয়েছে, মামলা নিতে কিংবা আসামি না ধরার জন্য স্থানীয় নেতাকর্মীদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়েছেন ওসি। যুবলীগ ও কৃষক লীগ নেতাদের কাছ থেকে ৫০ হাজার থেকে ২ লাখ টাকা পর্যন্ত আদায় করেছেন তিনি।
পুলিশের জবাব ও অবস্থান
ওসি মোহা. বিল্লাল হোসেন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “মাদকের সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই। টোল প্লাজা থেকে পণ্য পাওয়া গেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়।”
তবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশ সুপার এহতেশামুল হক (Ehteshamul Haque) বলেন, “মাদকের সঙ্গে পুলিশের সম্পৃক্ততা প্রমাণ হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”