অর্থ পাচার মামলায় যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী পাপিয়ার ৪ বছরের কারাদণ্ড

যুব মহিলা লীগ (Jubo Mohila League)–এর বহিষ্কৃত নেত্রী শামিমা নূর পাপিয়া (Shamima Noor Papia) অর্থ পাচার মামলায় ৪ বছরের কারাদণ্ড পেয়েছেন। একইসঙ্গে তাকে ৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

রোববার (২৫ মে) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। তবে মামলার অন্য চার আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

আলোচিত গ্রেপ্তার ও তদন্তে চাঞ্চল্য

২০২০ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (Shahjalal International Airport) থেকে বিদেশে পালানোর চেষ্টাকালে পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমান (Mofizur Rahman)–কে গ্রেফতার করে র‍্যাব। তদন্তে উঠে আসে—রাজনীতি ও প্রভাব খাটিয়ে তারা একটি অপরাধচক্র গড়ে তুলেছিলেন। ঢাকার পাঁচ তারকা হোটেলে বিলাসবহুল কক্ষ ভাড়া নিয়ে পরিচালনা করতেন অনৈতিক কর্মকাণ্ড। অস্ত্র, মাদক ও বিপুল পরিমাণ অর্থ লেনদেনও ছিল এই চক্রের অংশ।

আগের মামলায় ২০ বছরের সাজা

অস্ত্র মামলায় এর আগে পাপিয়া ও তার স্বামী ২০ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন।

কারাগারে নানা অনিয়মে জড়িত থাকার অভিযোগ

কারাগারে থাকার সময় পাপিয়ার বিরুদ্ধে উঠে আসে নানা অনিয়ম ও সহিংসতার অভিযোগ। কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগারে বন্দি অবস্থায় তিনি নারী বন্দীদের গালিগালাজ, ভয়ভীতি এবং আক্রমণ করতেন বলে রেকর্ডে উল্লেখ আছে। স্মার্টফোন ও চার্জার উদ্ধার, কারারক্ষীদের ঘুষ দেওয়ার চেষ্টা এবং অনুমতি ছাড়া সেল পরিবর্তনসহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

পরে ২০২৩ সালের ৩ জুলাই তাকে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগার (Kashimpur Women’s Central Jail) থেকে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থানান্তর করা হয়।