বিএনপি (BNP)’র সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী (Ruhul Kabir Rizvi) বলেছেন, “অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি এখনো বিএনপির আনুষ্ঠানিক অনাস্থা নেই, তবে সরকারের কথাবার্তা ও আচরণে সাধারণ মানুষ বিরক্ত হয়ে পড়ছে।”
নির্বাচন ও সরকারের ভূমিকা নিয়ে মন্তব্য
রোববার (২৫ মে) বিকেলে নয়াপল্টন (Naya Paltan)-এ জাতীয়তাবাদী কৃষকদল (Jatiotabadi Krishok Dal) আয়োজিত এক প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন। প্রতিবাদটি অনুষ্ঠিত হয় যশোর (Jashore) জেলার নোয়াপাড়া (Noapara) পৌর কৃষকদলের সভাপতি তরিকুল ইসলাম (Tariqul Islam) হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে।
রিজভী বলেন, “অন্তর্বর্তী সরকার সুনির্দিষ্ট নির্বাচনের সময় ঘোষণা করুক। দশ মাস পার হয়েছে, সংস্কার করতে তো এত সময় লাগার কথা নয়। ডিসেম্বরে নির্বাচন হলে এখনো অনেক সময় আছে।”
প্রশাসনের ব্যর্থতা ও শাসনব্যবস্থা নিয়ে সমালোচনা
তিনি বলেন, “জনগণের কোনো কর্তৃত্ব নেই। প্রশাসন অকার্যকর হয়ে পড়েছে। পুলিশ নিরুপায় হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে, অপরাধী কার্যক্রমের বিরুদ্ধে কার্যকর ভূমিকা নেই। এ কারণে সমাজে হত্যা-সন্ত্রাস বেড়ে চলেছে। জনগণের ভোটাধিকার নেই বলেই আজ এই সংকট।”
প্রধান উপদেষ্টা ও উপদেষ্টাদের উদ্দেশে বক্তব্য
তারেক রহমান (Tarique Rahman) সম্পর্কে সরকারের এক উপদেষ্টার মন্তব্যের জবাবে রিজভী বলেন, “তিনি জাতিসংঘের রাজনৈতিক আশ্রয়প্রাপ্ত হিসেবে বিদেশে আছেন। শেখ হাসিনা থাকলে তাকে হত্যা করত। এখন তো শেখ হাসিনা নেই, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নেই, তবু কেন কৃষকদল নেতা নিহত হলেন?”
শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina) সরকারের সময়ের ভোট ছিনিয়ে নেওয়ার প্রসঙ্গ টেনে রিজভী হুঁশিয়ারি দেন—যদি বর্তমান সরকারও সেই ধারায় চলে, তাহলে জনগণ মনে করবে শেখ হাসিনার ‘বাতাস’ এদের গায়ে লেগেছে।
উপস্থিত নেতাকর্মীরা
বিক্ষোভ মিছিলে উপস্থিত ছিলেন কৃষকদলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল (Shahidul Islam Babul)সহ কৃষকদল ও অন্যান্য সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।