একাত্তরের যুদ্ধাপরাধ মামলায় মৃত্যুদণ্ড পাওয়া এটিএম আজহারুল ইসলাম (ATM Azharul Islam) আপিল বিভাগ থেকে খালাস পাওয়ার পর সুপ্রিম কোর্টের বিশিষ্ট আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া (Barrister Jyotirmoy Barua) এ রায়কে ‘প্রহসন’ বলে আখ্যায়িত করেছেন।
সামাজিক মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া
মঙ্গলবার এক ফেসবুক পোস্টে ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া লিখেছেন, “বিচারের দীর্ঘশ্বাস আগেও ছিল, এখনো আছে। প্রহসনের সাক্ষী হয়েছি আমি।”
এই মন্তব্যের মাধ্যমে তিনি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (International Crimes Tribunal) ও সর্বোচ্চ আদালতের সর্বসম্মত রায়ের প্রতি স্পষ্ট অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
আদালতের রায় ও আইনি প্রেক্ষাপট
মঙ্গলবার (২৭ মে) সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) আপিল বিভাগ প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের (Dr. Syed Refaat Ahmed) নেতৃত্বে সাত বিচারপতির বেঞ্চে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দেওয়া মৃত্যুদণ্ডের রায় বাতিল করে আজহারুল ইসলামকে খালাস দেন। আদালত আরও নির্দেশ দেন, তার বিরুদ্ধে অন্য কোনো মামলা না থাকলে তাকে অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে।
২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আজহারুল ইসলামকে মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য মৃত্যুদণ্ড দেন। পরে ২০১৯ সালের ৩১ অক্টোবর আপিল বিভাগ সেই রায় বহাল রাখে। আজহারের পক্ষ থেকে রিভিউ আবেদন করা হয় ২০২০ সালের ১৯ জুলাই। এরপর, ২০২4 সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার (Awami League) মেয়াদে, ২০২৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি আদালত রিভিউ শুনানির অনুমতি দেয় এবং দুই সপ্তাহের মধ্যে সারসংক্ষেপ জমা দিতে নির্দেশ দেয়। শুনানি শেষে তাকে খালাস দেওয়া হয়।
বিচারব্যবস্থার প্রতি উদ্বেগ
ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময়ের মন্তব্য আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে একধরনের আইনগত ও নৈতিক অবস্থান প্রকাশ করে, যা যুদ্ধাপরাধ বিচার নিয়ে জনমনে নতুন করে প্রশ্ন উত্থাপন করতে পারে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এই ধরনের মন্তব্য আদালতের রায় নিয়ে বিতর্ককে আরও তীব্র করতে পারে।