২০০৪ সালের বহুল আলোচিত একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় খালাস পাওয়া সব আসামির বিরুদ্ধে আপিল করার অনুমতি দিয়েছে আপিল বিভাগ (Appellate Division)। এর ফলে তারেক রহমান (Tarique Rahman) ও লুৎফুজ্জামান বাবর (Lutfozzaman Babar)-সহ সব আসামির বিরুদ্ধে আপিল শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
আপিল শুনানি ১ জুলাই
রোববার (১ জুন) প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ (Chief Justice Dr. Syed Refaat Ahmed)-এর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের বেঞ্চ রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন মঞ্জুর করে এ আদেশ দেন এবং আগামী ১ জুলাই শুনানির দিন ধার্য করেন।
অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুহাম্মদ আবদুল জব্বার ভুঞা (Abdul Jabbar Bhuiyan) রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে অংশ নেন এবং আসামিপক্ষে ছিলেন এস এম শাহজাহান (SM Shahjahan) ও মোহাম্মদ শিশির মনির (Shishir Monir)।
এস এম শাহজাহান বলেন, “আপিল বিভাগ লিভ দিয়েছেন, ১ জুলাই শুনানি হবে। এর মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষকে আপিলের সারসংক্ষেপ দাখিল করতে বলা হয়েছে।”
হাইকোর্টের রায় ও এর পটভূমি
এর আগে, ২০২3 সালের ১ ডিসেম্বর হাইকোর্ট (High Court) বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ সব আসামিকে খালাস দেন। বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান (বর্তমানে আপিল বিভাগের বিচারপতি) এবং বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের বেঞ্চ এই রায় দেন।
এ রায়ে বিচারিক আদালতের দেওয়া যাবজ্জীবন ও মৃত্যুদণ্ড বাতিল করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপক্ষ হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল দায়ের করে, যার শুনানি শুরু হয় ১৫ মে এবং ২৮ মে পরবর্তী শুনানির পর আজ চূড়ান্তভাবে আপিলের অনুমতি দেওয়া হয়।
ঘটনার পটভূমি
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ (Bangabandhu Avenue)-তে আওয়ামী লীগ (Awami League) সভানেত্রী শেখ হাসিনার সমাবেশে বর্বর গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। এতে ২৪ জন নিহত হন এবং শতাধিক নেতাকর্মী আহত হন। শেখ হাসিনা অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান।
এই ঘটনায় দুটি পৃথক মামলা—একটি হত্যা এবং অন্যটি বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে—দায়ের করা হয়।