নিউ এইজ (New Age) সম্পাদক নূরুল কবীর (Nurul Kabir) বলেছেন, রাখাইন সংকট এখন কেবল বাংলাদেশ, মিয়ানমার (Myanmar) ও রোহিঙ্গা (Rohingya)দের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। এটি এখন আন্তর্জাতিক শক্তিগুলোর একটি ভূরাজনৈতিক সংঘাতের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে, যেখানে আমেরিকা, চীন, ভারত ও মিয়ানমারের স্বার্থ জড়িত।
সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশন টকশোতে অংশ নিয়ে তিনি বলেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূস (Dr. Muhammad Yunus), খলিলুর রহমান (Khalilur Rahman) ও আদিলুর রহমান (Adilur Rahman) দেশের জন্য নিবেদিত হলেও, তারা একা এই জটিল সমস্যার সমাধান করতে পারবেন না।
নিরাপত্তা ও পরামর্শে বহুপক্ষীয় সংলাপের প্রয়োজন
নূরুল কবীর বলেন, “নিরাপত্তা মানে শুধু শারীরিক নিরাপত্তা নয়, তবে সেটি গুরুত্বপূর্ণ। যুদ্ধাবস্থা তৈরি হলে সেনাবাহিনীকেই যেতে হবে। তাই আর্মির নেতৃত্বের সঙ্গে কনফিডেন্সিয়াল আলোচনা আবশ্যক। একইভাবে যারা রিজিওনাল পলিটিকস বা ভূরাজনীতি বোঝেন, তাদের সঙ্গেও আলোচনা জরুরি।”
তিনি জিজ্ঞেস করেন, “রাজনৈতিক দল, সশস্ত্র বাহিনী, বুদ্ধিজীবী ও ভূরাজনীতিকদের বাদ দিয়ে কেবল কিছু ব্যক্তি কীভাবে জাতীয় নিরাপত্তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন?”
গোপনীয়তা ও এনজিও প্রভাব নিয়ে সমালোচনা
নূরুল কবীর বলেন, “অনেক কিছু গোপনে করার চেষ্টা হচ্ছে, অথচ জনগণের দাবির বিষয়ে তারা উদাসীন। আবার আন্তর্জাতিক চাপের কাছে সহজেই নতি স্বীকার করছে।” তিনি সরকারের গঠনে ড. ইউনূসের প্রভাবের প্রসঙ্গ তুলে বলেন, “অধিকাংশ সদস্যই একটি নির্দিষ্ট শ্রেণির অংশ, যেখানে কোনো বৈচিত্র্য নেই। তাদের ভাবনা হলো এনজিও প্রক্রিয়াই রাজনীতির বিকল্প, যা সম্পূর্ণ ভুল ধারণা।”
রাজনৈতিক বিচ্ছিন্নতা ও জনআস্থা
তিনি বলেন, “সরকারের অনেক সদস্য রাজনীতি বোঝেন না, জনবিচ্ছিন্ন এবং বাস্তবতার সঙ্গে সম্পর্কহীন। এতে সমস্যাগুলোর সমাধান নয়, বরং অসম্মানিত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ছে। কিছু ব্যক্তি ইতিমধ্যেই জনসম্মান হারিয়েছেন।”
নূরুল কবীর মন্তব্য করেন, “যারা দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তা করেন, তাদের সঙ্গে সরকারের সংঘাত তৈরি হচ্ছে। এই অস্থিরতা বাংলাদেশকে বিপদের দিকে ঠেলে দিতে পারে।”