এবি পার্টি (AB Party) জাতীয় ঐকমত্য গঠনের আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে সরকারের উদ্দেশে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দিয়েছে। সোমবার (২ জুন) বিকেল সাড়ে ৪টায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমি (Foreign Service Academy)তে অনুষ্ঠিত জাতীয় ঐকমত্য কমিশন (National Consensus Commission) এর দ্বিতীয় দফার বৈঠকে এই বার্তাগুলো তুলে ধরেন দলটির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান ফুয়াদ (Asaduzzaman Fuad)।
বার্তা ১: লিখিত ফ্রেমওয়ার্কের দাবি
ফুয়াদ বলেন, “গত ডিসেম্বরে যখন কমিশনের কার্যক্রম শুরু হয়, তখন একটি সুস্পষ্ট ফ্রেমওয়ার্ক থাকা প্রয়োজন ছিল। এই কমিশন কী অর্জন করতে চায়, কোন সময়সীমায় অর্জন করতে চায়—এসব বিষয় জনগণের জানার অধিকার আছে।”
তিনি দাবি করেন, “একটি লিখিত কাঠামো ছাড়া স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়। এটি জনগণের আস্থা অর্জনের জন্য জরুরি।”
বার্তা ২: অন্তর্বর্তী সরকারের কাজের খতিয়ান প্রকাশ
দ্বিতীয় বার্তায় ফুয়াদ বলেন, “১০ মাসে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কী অর্জন করেছে, তা জনগণের সামনে আনতে হবে। যেমন আইন উপদেষ্টা তাঁর দপ্তরের কাজের ফিরিস্তি দিয়েছেন, তেমনি সব উপদেষ্টার কাজের হিসাব দিতে হবে।”
বার্তা ৩: নির্বাচন নিয়ে মনস্তাত্ত্বিক দূরত্ব
তৃতীয় বার্তায় তিনি বলেন, “নির্বাচনের সময়সীমা নিয়ে মতপার্থক্য বাস্তব নয়, বরং এটি মনস্তাত্ত্বিক দূরত্ব। এ বিষয়ে আরও আন্তরিক আলোচনা হলে সমঝোতা সম্ভব।”
ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভা
এই বৈঠকের সভাপতিত্ব করেন কমিশনের চেয়ারম্যান ও প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস (Dr. Muhammad Yunus)।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এবি পার্টির এই তিনটি বার্তা সরকারের সামনে স্বচ্ছতা, জবাবদিহি এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিয়ে একটি রাজনৈতিক বার্তা হিসেবে বিবেচিত হবে। এখন দেখার বিষয়, লিখিত কাঠামো ও ঐকমত্য কতটা দ্রুত বাস্তবায়ন করা যায়।