গুরুদাসপুর (Gurudaspur) থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবু জাফর মৃধা (Abu Zafar Mridha)কে বরখাস্ত করেছে পুলিশ প্রশাসন। এক মারামারির মামলায় এক ব্যক্তির নাম বাদ দেওয়ার জন্য তিনি মোবাইলে ৫ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে নাটোর (Natore)ের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আমজাদ হোসাইন (SP Mohammad Amzad Hossain) জানান, তদন্তে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে এবং অভিযুক্ত এসআইকে বরখাস্ত করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।
অডিও ক্লিপে ঘুষ চাওয়ার প্রমাণ
মোবাইলে কথোপকথনের একটি অডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ক্লিপে এসআই জাফরকে বলতে শোনা যায়, “৫ লাখ টাকার নিচে হবে না, একা নাম কাটতে পারবো না। আপাতত ১ লাখ দেন, ঈদের আগে কিছু করতে হবে।”
ঘুষের প্রস্তাব দেওয়া ওই কথোপকথনে গোলাম রাব্বি (Golam Rabbi), মামলার এক আসামি রাসেল হোসাইন (Rasel Hossain)–এর দোকানের কর্মচারী, উপস্থিত ছিলেন।
মামলার পটভূমি ও অভিযোগ
ফরিদ মোল্লা (Farid Molla) নামের এক ব্যক্তি তার ছেলে রুবেল (Rubel)কে মারধরের অভিযোগে মামলা করেন, যেখানে প্রবাসী রাসেলকে ১ নম্বর আসামি করা হয়।
রাসেল যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী এবং একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। তিনি মোবাইলে জানান, “বিদেশে থেকেও আমি মামলার আসামি, অথচ নাম কাটাতে পুলিশ কর্মকর্তা ঘুষ চায়। এটা চরম অপমান।” তিনি দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা দাবি করেন।
প্রশাসনিক প্রতিক্রিয়া
পুলিশ সুপার আমজাদ হোসাইন জানান, বিষয়টি নিয়ে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে অভিযুক্ত এসআই আবু জাফর মৃধা তার বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “আমি কারও কাছে টাকা চাইনি, এসব ভিত্তিহীন।”
গুরুদাসপুর থানার ওসি আসমাউল হক (Asmaul Haque) বলেন, বিষয়টি পুলিশ সুপারের সঙ্গে আলোচনা করে সমাধান হবে। অডিওতে তার নাম উঠে আসলেও তিনি মন্তব্য করতে রাজি হননি।