বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী (Bangladesh Jamaat-e-Islami) পুনরায় প্রতীকসহ দলীয় নিবন্ধন পেতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ (Brig. Gen. (Retd.) Abul Fazal Md. Sanaullah)। নির্বাচন কমিশন (ইসি) এই সিদ্ধান্ত নীতিগতভাবে চূড়ান্ত করেছে বলে তিনি জানান।
সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন ইসি সদস্য সানাউল্লাহ
বুধবার (৪ জুন) অনুষ্ঠিত নির্বাচন কমিশনের সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে সানাউল্লাহ বলেন, “আপিল বিভাগ জামায়াতের নিবন্ধন পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। সে অনুযায়ী আমরা দ্রুত নিবন্ধন ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা নিচ্ছি।”
প্রতীকের বিষয়েও ইতিবাচক সিদ্ধান্ত
ইসি (Election Commission) সদস্য বলেন, “জামায়াতে ইসলামী তাদের প্রতিনিধির মাধ্যমে আবেদন করেছে যেন তারা আগের প্রতীক ‘দাঁড়িপাল্লা’ ফিরে পায়। আমরা বিষয়টি বিশদভাবে পর্যালোচনা করেছি এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি।”
তিনি জানান, ২০০৮ সালের ৫ নভেম্বর দলটিকে যখন নিবন্ধন দেওয়া হয়েছিল, তখন তাদের প্রতীক ছিল ‘দাঁড়িপাল্লা’। সেই সময়ের রেফারেন্স এবং গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের চ (১)(খ) ধারা অনুযায়ী প্রতীক ফিরিয়ে দেওয়ার যৌক্তিকতা বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে।
আদালতের রায়ের প্রেক্ষাপট
আপিল বিভাগ (Appellate Division) গত ২ জুন একটি রায়ে হাইকোর্ট (High Court) কর্তৃক জামায়াতের নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণার রায় বাতিল করে। তবে প্রতীক ‘দাঁড়িপাল্লা’ বিষয়ে কোনো সরাসরি আদেশ দেওয়া হয়নি।
ইসি সদস্য আরও বলেন, জামায়াত ইসলামীর পক্ষ থেকে জমা দেওয়া ২০০৬ সালের একটি রিট পিটিশন (৩৭৯৭/২০০৬)–এর রায়ের রেফারেন্স অনুযায়ী বলা হয়েছে, ‘দাঁড়িপাল্লা’ নির্বাচনী প্রতীক হিসেবে ব্যবহারে আদালতের মান ক্ষুণ্ন হবে না। সেই রায় এখনো বলবৎ রয়েছে।
প্রতীক বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ইসির
আদালত নির্দেশনা দিয়েছে, প্রতীক ও নিবন্ধন সংক্রান্ত যেকোনো অমীমাংসিত বিষয় নির্বাচন কমিশন সংবিধান অনুযায়ী নিষ্পত্তি করবে। সেই আলোকে জামায়াতের নিবন্ধন ও প্রতীক ‘দাঁড়িপাল্লা’ ফিরিয়ে দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসি।