বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের ব্যক্তিগত সহকারীরা (পিএস) মাত্র ১০ মাসেই শত শত কোটি টাকা কামিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি (BNP) আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা (Barrister Rumeen Farhana)।
টকশোতে সরব সমালোচনা
একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে অংশ নিয়ে তিনি বলেন, “১০ মাসে একেকজন উপদেষ্টার পিএস শত শত কোটি টাকা কামিয়ে ফেলেছে। হাসিনার তো ১৫ বছর সময় লেগেছিল, পলিটিশিয়ানদের তো ১৫ বছর লাগে এই অর্থ কামাই করতে। কিন্তু এই বাটপাররা ৩-৫ মাসেই কামায়।”
রুমিন ফারহানা দাবি করেন, রাজনৈতিক সরকারকে উদ্দেশ্য করে অব্যাহত সমালোচনার বিপরীতে বর্তমানে অরাজনৈতিক সরকার গঠন হলেও দুর্নীতি ও লোভ-লালসা বন্ধ হয়নি। বরং এই সরকারেও “একইরকম লোভী, একইরকম দুর্নীতিগ্রস্ত, একইরকম মিথ্যাবাদী” ব্যক্তিরাই অবস্থান করছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
ফেরেশতা-ইবলিশ তত্ত্ব এবং দুর্নীতির তুলনা
রুমিন বলেন, “আবিষ্কার হয়েছে নতুন তত্ত্ব—উপদেষ্টারা ফেরেশতা, পিএসরা ইবলিশ। কী ফানি কথা, তাই না?” তিনি উল্লেখ করেন, অতীতে একজন পিএসের দুর্নীতির দায়ে প্রবীণ রাজনীতিক সুরঞ্জিত সেনগুপ্তকে জীবনের শেষ দিনগুলোতে কালো বিড়াল তকমা নিয়ে দিন কাটাতে হয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে কোনো রাজনৈতিক বা পারিবারিক ব্যাকগ্রাউন্ড না থাকা ব্যক্তিদের পিএসরা কয়েক মাসেই বিপুল পরিমাণ অর্থ আয় করছে, অথচ তাদের বিরুদ্ধে কোনো জবাবদিহিতা নেই।
জনসম্পৃক্ততা ও জবাবদিহিতার প্রসঙ্গ
তিনি বলেন, “রাজনীতিবিদদের দিনে শেষে মানুষের কাছে ফিরতে হয়। এই একটা ভয় তাদের থাকে—আজ না হোক কাল তো ভোট চাইতে যেতে হবে। কিন্তু উপদেষ্টারা জনবিচ্ছিন্ন। দুই দিন পর তারা আমেরিকা, লন্ডন বা সিঙ্গাপুরে চলে যাবে। তাদের আর ফেরার দায় নেই। কিন্তু আমাদের তো যাওয়ার জায়গা নেই।”
রাজনীতিকদের দায়বদ্ধতা বেশি
রুমিন ফারহানা বলেন, রাজনৈতিক দল বিলুপ্ত হয় না, তাই রাজনীতিবিদদের জবাবদিহিতা ভবিষ্যতেও থেকে যায়। সেই দায়বদ্ধতা অনেক বেশি কার্যকর হয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।