টিউলিপ সিদ্দিকী (Tulip Siddiq) ও মুহাম্মদ ইউনুস (Muhammad Yunus)—এই দুই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিকে কেন্দ্র করে লন্ডন (London) সফরে তৈরি হয়েছে কূটনৈতিক আলোড়ন। গুঞ্জন উঠেছে, টিউলিপের ‘কূটচালেই’ নাকি ড. ইউনূস ও ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমারের (Keir Starmer) মধ্যকার বৈঠক স্থগিত হয়ে পড়েছে।
টিউলিপের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন ড. ইউনূস
জানা যায়, হাউস অফ কমন্স (House of Commons)-এ চা চক্র বা ডিনার পার্টিতে আমন্ত্রণ জানিয়ে টিউলিপ সিদ্দিকী একটি চিঠি পাঠান ড. ইউনূসকে। কিন্তু তিনি সরাসরি তা প্রত্যাখ্যান করেন। এরপর থেকেই নাকি হতাশ ও লজ্জায় পড়েন টিউলিপ।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক অনিশ্চিত
ড. ইউনূসের সফরের আগে ঘোষণা ছিল, তিনি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করবেন। কিন্তু লন্ডন-এ পৌঁছানোর পর তা নিয়ে দেখা দেয় অনিশ্চয়তা। ধারণা করা হচ্ছে, টিউলিপ সিদ্দিকীর সুসম্পর্ক কাজে লাগিয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকটি বন্ধ করতে চেষ্টা করেছেন।
ইউনূসের কূটনৈতিক সাফল্য অব্যাহত
তবে সফরে এসে ব্রিটিশ রাজা তৃতীয় চার্লসের (King Charles III) সঙ্গে বাকিংহাম প্যালেস (Buckingham Palace)-এ একান্ত বৈঠক করেন ড. ইউনূস। একইসঙ্গে সার লিন্ডসে হোয়েল (Sir Lindsay Hoyle)-এর সাথেও তার সাক্ষাৎ হয়েছে। যুক্তরাজ্যের কয়েকজন সংসদ সদস্যও তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।
টিউলিপের ভূমিকা নিয়ে উদ্বেগ
বিশ্লেষকদের মতে, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ইউনূসের বৈঠক হলে শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina) এবং নিষিদ্ধঘোষিত আওয়ামী লীগ (Awami League) নেতাদের বিরুদ্ধে অর্থপাচারসহ নানা অভিযোগ তুলতে পারতেন ড. ইউনূস। সেই সম্ভাবনা ব্যাহত করতেই টিউলিপ সিদ্দিকী সক্রিয়ভাবে কাজ করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এখনো বৈঠকের আশায় ড. ইউনূস
নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, অল্প সময়ের জন্য হলেও ড. ইউনূস এখনও ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে আগ্রহী। তবে টিউলিপের ভূমিকা তাকে ‘বেকায়দায়’ ফেলতে পারে বলেও মত দিয়েছেন বিশ্লেষকরা।