আন্তর্বর্তী সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের ‘ব্যাগ গুছিয়ে ফেলতে’ বললেন সিনিয়র সাংবাদিক আনিস আলমগীর। শুক্রবার বিকেলে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পোস্টে তিনি এই মন্তব্য করেন।
লন্ডনের বৈঠকের পর রাজনৈতিক দৃশ্যপট স্পষ্ট: আনিস
আনিস আলমগীর বলেন, লন্ডনে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও তারেক রহমান-এর মধ্যে হাই প্রোফাইল বৈঠকে রাজনৈতিক সমঝোতার আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়েছে। তিনি বলেন, “যা হওয়ার ছিল, তাই হলো। মিডিয়া ও রাজনৈতিক মহলের কল্পনা এবার বাস্তব হলো।”
তিনি জানান, নির্বাচন ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই অনুষ্ঠিত হবে বলে ধারণা করছেন, এবং আওয়ামী লীগ যে নির্বাচনে অংশ নেবে না, সেটাও এখন প্রায় নিশ্চিত।
ক্ষমতাসীনদের জন্য সতর্কবার্তা
আনিস আলমগীর সরাসরি বলেন, “বিদেশি পাসপোর্ট যাদের আছে, তারা চিন্তামুক্ত; কিন্তু বাকিরা ব্যাগ গুছিয়ে ফেলুন।” কার কোন দেশে নিরাপদ প্রস্থান (সেফ এক্সিট) হবে, তা ঠিক করে ফেলার পরামর্শও দেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, “দেশে থাকার নিরাপত্তা নেই। গত ১০ মাসে এমন এক সমাজ তৈরি করেছেন, যার ক্ষত সহজে মিটবে না।“
ওয়ান ইলেভেনের প্রসঙ্গ ও রাজনৈতিক নির্বাসনের ইঙ্গিত
আনিস আলমগীর বলেন, ২০০৭ সালের ওয়ান ইলেভেনের মতো অনেক ক্ষমতাসীনকেও হয়তো দীর্ঘদিন দেশের বাইরে নির্বাসিত জীবন কাটাতে হবে। ক্ষমতা বদলের পরে বিএনপি হয়তো সরাসরি কিছু বলবে না, তবে কেউ নিরাপত্তা পাবে না— এটা বুঝে নিতে হবে।
‘তারেক রহমান ঢাকায় ফিরছেন’
আনিস জানান, “তারেক রহমানের জীবন বাংলাদেশে অনিরাপদ”—এই ধরনের ‘ভুয়া’ গোয়েন্দা রিপোর্টগুলো সরিয়ে ফেলা হবে। তিনি বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তির আগেই তারেক ঢাকায় ফিরবেন।
সবাইকে আহ্বান: নতুন বাংলাদেশ গড়ার সময়
পোস্টের শেষাংশে আনিস আলমগীর বলেন, “চলো বাংলাদেশ, এবার জঙ্গি-মব শাসনের অপসান হোক। আসুন, সবাই মিলে একটি উদার, সহনশীল ও গণতান্ত্রিক সমাজ গড়ি।“