দুই ভিন্ন সময়ের দুই ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় অলৌকিকভাবে বেঁচে যান দু’জন যাত্রী—তারা দু’জনই ছিলেন ১১এ সিটে। ১৯৯৮ সালের ১১ ডিসেম্বর থাই এয়ারওয়েজ (Thai Airways)-এর ফ্লাইট TG261 বিধ্বস্ত হয় দক্ষিণ থাইল্যান্ডে (Thailand), যাতে অভিনেতা-গায়ক রুয়াংসাক লয়চুসাক অলৌকিকভাবে বেঁচে যান। ২০২৫ সালের জুনে এয়ার ইন্ডিয়ার (Air India) AI171 ফ্লাইট বিধ্বস্ত হওয়ার পরও একইভাবে ১১এ সিটে বসে থাকা ভারতীয় বংশোদ্ভূত বৃটিশ নাগরিক বিশ্বাস কুমার রমেশ (Vishwas Kumar Ramesh) প্রাণে বেঁচে যান।
দুই সিট, দুই প্রাণ ও এক অলৌকিক মিল
বৃহস্পতিবার বিকেলে আহমেদাবাদ বিমানবন্দর (Ahmedabad Airport) থেকে উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরেই এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং ড্রিমলাইনারটি বিধ্বস্ত হয়। ২৪২ জন আরোহীর মধ্যে কেবল রমেশ জীবিত ছিলেন। জরুরি বহির্গমন পথের পাশে ১১এ সিটে বসে থাকা রমেশ বিমান থেকে ছিটকে পড়েন। একাধিক আঘাতের পরও ধ্বংসাবশেষ থেকে বেরিয়ে এসে নিজেই অ্যাম্বুলেন্সে উঠতে সক্ষম হন।
রুয়াংসাকের স্মৃতিচারণ ও প্রতিক্রিয়া
থাই অভিনেতা রুয়াংসাক জানান, যখন তিনি এয়ার ইন্ডিয়ার দুর্ঘটনার খবর জানতে পারেন, তখন নিজের সঙ্গে রমেশের মিল দেখে তিনি হতবাক হন। ফেসবুকে থাই ভাষায় লেখা এক পোস্টে তিনি লেখেন, “ভারতে বিমান দুর্ঘটনায় বেঁচে যাওয়া ব্যক্তি আমার মতোই ১১এ সিটে ছিলেন।”
রুয়াংসাক জানান, ১৯৯৮ সালের দুর্ঘটনায় বেঁচে ফেরার পর তার মানসিকভাবে সুস্থ হতে অনেক সময় লেগেছিল। সবসময় তার মনে হত, কেন তিনি বেঁচে গেলেন অথচ বাকিরা গেলেন না। এই বেঁচে যাওয়া যেন এক ধরনের পুনর্জন্ম।
সমবেদনা ও মানবিক বার্তা
দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন রুয়াংসাক। একই সঙ্গে ১১এ সিটের এই বিস্ময়কর মিল জনমনে বিস্ময় ও ভাবনার খোরাক জুগিয়েছে।
সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে