উপদেষ্টার মাহরাম হওয়ায় স্ত্রীকে হজে নেওয়ার অনুরোধ জানালেন আহমদ আলি

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মহোদয়ের ভগ্নিপতি আহমদ আলি (Ahmad Ali) বলেছেন, তার স্ত্রী যেহেতু উপদেষ্টা মহোদয়ের ছোট বোন, তাই মাহরাম হিসেবে উপদেষ্টা যেন তাকে হজে নিয়ে যান—এই অনুরোধ তিনি জানিয়েছেন। শনিবার (১৪ জুন) নিজের ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এই মন্তব্য করেন।

ব্যক্তিগত খরচে হজে যাচ্ছেন, সরকারি সহায়তা নয়

আহমদ আলি স্পষ্ট করে বলেন, তার স্ত্রী নিজ খরচে হজ পালন করছেন এবং তিনি নিজে তার সঙ্গে যেতে পারছেন না বলে উপদেষ্টা মহোদয়ের সাহায্য চেয়েছেন। তার মতে, “আমার স্ত্রী মাননীয় ধর্ম মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মহোদয়ের ছোট বোন। সে হজে গমন করছে সম্পূর্ণ নিজস্ব খরচে।”

পোস্টে তিনি আরও উল্লেখ করেন, উপদেষ্টার আরেক বোনও একইভাবে নিজ খরচে হজে গেছেন এবং আরেক বোন অর্থের অভাবে যেতে পারেননি।

সৌদি আরবে রয়েছেন আত্মীয়-স্বজন

তিনি জানান, তার স্ত্রীর বড় ভাই ড. সাদিক হোসেন (Dr. Sadik Hossain) বর্তমানে রিয়াদস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে (Bangladesh Embassy in Riyadh) কর্মরত। এছাড়া আরও অনেক ঘনিষ্ঠ আত্মীয় সৌদি আরবে অবস্থান করছেন, যারা হজযাত্রীদের দেখাশোনায় সর্বদা নিয়োজিত।

হজ যাত্রা নিয়ে ভুল ধারণা ছড়ানোর অভিযোগ

আহমদ আলি দাবি করেন, একটি পত্রিকা ফটোকার্ড প্রকাশ করেছে যেটি দেখে জনসাধারণের মনে হতে পারে তার স্ত্রী ও পরিবারের অন্য সদস্যরা সরকারি অর্থে হজে গিয়েছেন। অথচ খবরে বলা হয়েছে তারা সম্পূর্ণ নিজস্ব খরচে গিয়েছেন। তিনি এটিকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রচারণা হিসেবে দেখছেন।

বাড়তি খরচের কথাও জানালেন

পোস্টে তিনি আরও বলেন, উপদেষ্টা মহোদয়ের সফরসঙ্গী হওয়ায় যাতায়াতে বাড়তি খরচ বহন করতে হচ্ছে হজযাত্রীদের। মক্কা থেকে মদিনা কিংবা রিয়াদ সফরে সাধারণত সস্তা গাড়ি ব্যবহার করলেও এবার বুলেট ট্রেন (Bullet Train) ও বিমানে ভ্রমণ করতে হচ্ছে, যার খরচ অনেক বেশি এবং তা তারা নিজেরাই বহন করছেন।

তিনি স্পষ্ট করেন, “আমার স্ত্রী ও তার আপা উপদেষ্টা মহোদয়ের সঙ্গে গেছেন ঠিকই, কিন্তু তাঁরা ফিরবেন তার ফেরার আরও ১০-১২ দিন পরে। তারা যদি একান্ত সফরসঙ্গী হতেন, তাহলে তো একসঙ্গে ফিরে আসতেন।”