নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হবে কি না—এই প্রশ্ন ঘিরে মত দিয়েছেন বিশিষ্ট সাংবাদিক ও কলামিস্ট আনিস আলমগীর (Anis Alomgir) এবং জাতীয় নাগরিক পার্টি (Jatiyo Nagorik Party)-র সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আরিফুল ইসলাম আদিব (Ariful Islam Adib)।
আনিস আলমগীরের বিশ্লেষণ
আনিস আলমগীর মনে করেন, নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতেই হবে। তিনি বলেন, “যে সম্ভাবনাগুলো রয়েছে, তার বেশিরভাগই ফেব্রুয়ারি মাসে কার্যকর হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।” তিনি জানান, ড. ইউনূস বলেছিলেন জুনে নির্বাচন হতে পারে, তবে আবহাওয়াজনিত কারণে এপ্রিলেও সেটি সম্ভব না—যা বিএনপি (BNP) যথার্থভাবে ব্যাখ্যা করেছে।
তিনি বলেন, এপ্রিলের পরে বাংলাদেশে কালবৈশাখী ঝড় ও প্রচণ্ড গরম থাকে। তাই আবহাওয়ার প্রেক্ষাপটে ডিসেম্বর কিংবা ফেব্রুয়ারিই দেশের নির্বাচনের উপযুক্ত মৌসুম। তাঁর মতে, সরকার তাদের নির্ধারিত সময় চাইছে কিছু অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন করার জন্য। এর মধ্যে অন্যতম কাজ হচ্ছে, “শেখ হাসিনাকে (Sheikh Hasina) একটি মামলায় রায় দিয়ে দেখানো যে তারা কাজ করেছে।”
আরিফুল ইসলাম আদিবের পর্যবেক্ষণ
অন্যদিকে, আরিফুল ইসলাম আদিব বলেন, “নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতে হবে কি না, তা নির্ভর করবে বিএনপি-র উপর। তারা কী ধরনের প্রক্রিয়ায় নির্বাচন চায়, সেটাই নির্ধারক হবে।” তিনি বলেন, লন্ডন (London) বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা দুটি শর্ত দিয়ে বলেছেন—পর্যাপ্ত বিচার, সংস্কার এবং নির্বাচনের প্রস্তুতির পর নির্বাচন “হতে পারে”।
তিনি বলেন, “বৈঠকের পর বিএনপি মহাসচিব সংবাদ সম্মেলনে বলেন, প্রধান উপদেষ্টা ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে রাজি হয়েছেন এবং তাকে অভিনন্দন জানান। কিন্তু আদতে, প্রধান উপদেষ্টা নির্দিষ্ট করে ফেব্রুয়ারির কোনো তারিখ দেননি। ‘হতে পারে’ বলেছেন, ‘হবে’ নয়।”
তিনি আরো বলেন, “দলীয়ভাবে বিএনপি এই বিষয়টিকে এমনভাবে প্রচার করছে যেন নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতেই নিশ্চিত। তবে আসলে এখনও কিছুই নিশ্চিত নয়। প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যে দুটি শর্তের কথাই বলা হয়েছে, যা বিএনপি উপেক্ষা করছে।”
তার মতে, “বিএনপি যদি মৌলিক সংস্কারে মনোযোগ দেয় এবং বিগত ৫৪ বছরের রাষ্ট্রীয় ব্যাধি দূর করার দিকে মনোনিবেশ করে, তাহলে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন সম্ভব। কিন্তু দলীয় স্বার্থের রাজনীতি যদি চলতে থাকে, তাহলে তা সম্ভব নয়।”