তারেক রহমানের বক্তব্যে একমত সারজিস, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা হরণের সমালোচনা

বিএনপি (BNP)’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান (Tarique Rahman) অভিযোগ করেছেন, শেখ মুজিবুর রহমান (Sheikh Mujibur Rahman) ও তাঁর কন্যা শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina) দেশে একদলীয় শাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা হরণ করেছেন। এ বক্তব্যের সঙ্গে একমত পোষণ করে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (National Citizens’ Party)’র উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সমন্বয়ক সারজিস আলম (Sarjis Alam)।

তারেক রহমানের বক্তব্য

১৬ জুন সকালে ফেসবুকে দেওয়া পোস্টে তারেক রহমান লিখেন, ১৯৭৫ সালের ১৬ জুন ‘এক কালো দিবস’ হিসেবে চিহ্নিত। এদিনে তৎকালীন সরকার সব রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করে একদলীয় বাকশাল (BAKSAL) ব্যবস্থা চালু করে। মাত্র চারটি সংবাদপত্র রেখে বাকিগুলো বন্ধ করে দেওয়ায় বহু সংবাদকর্মী বেকার হন। তিনি উল্লেখ করেন, স্বাধীনতার মূল চেতনা ছিল গণতন্ত্র এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতা; কিন্তু তা ভূলুণ্ঠিত হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা রাষ্ট্রকে জবাবদিহির আওতায় আনে এবং জনগণের মতামত প্রতিফলিত করে। কিন্তু স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে একদলীয় শাসনের মাধ্যমে এই চেতনার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা হয়েছে। তিনি দাবি করেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা ফিরিয়ে দেন।

সমালোচনা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণের

তারেক রহমান বলেন, বিভিন্ন কালাকানুন ও ‘ড্রাকোনিয়ান’ আইন যেমন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন (Digital Security Act) এবং সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট (Cyber Security Act) সাংবাদিক ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা হরণ করেছে। ফ্যাসিবাদী শক্তির পতনের পর কিছুটা স্বাধীনতা ফিরলেও পুরোপুরি মুক্ত নয় বলে মন্তব্য করেন তিনি।

সারজিস আলমের প্রতিক্রিয়া

সারজিস আলম (Sarjis Alam) তারেক রহমানের বক্তব্যের প্রতি একমত পোষণ করে মন্তব্য করেন, “গণতন্ত্রের পথে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা গুরুত্বপূর্ণ।” তবে তিনি অভিযোগ করেন, অনেক প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে কিংবা টিআরপি লাভের আশায় মিথ্যা প্রচারণা ছড়ায়।

তিনি উল্লেখ করেন, কিছু সংবাদমাধ্যম ভিত্তিহীন খবর প্রকাশ করে পরে তা মুছে দেয়, কিন্তু এতে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তির ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এমনকি অনেক মিডিয়া অনলাইন ফটো কার্ডে বিভ্রান্তিকর শিরোনাম ব্যবহার করে, কিন্তু বিস্তারিত তথ্যে কোনো সত্যতা পাওয়া যায় না।

সারজিস আরও বলেন, বর্তমানে অনেক সাংবাদিক অতীতে আওয়ামী লীগ (Awami League)-কে খোলাখুলি সমর্থন করেছেন এবং এখনো নিরপেক্ষ না থেকে সুবিধাবাদী আচরণ করছেন। তার মতে, মিডিয়ার স্বাধীনতা যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি এই স্বাধীনতার অপব্যবহার হলে তদন্তসাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।